গাছে ঝুলছে কালচে বেগুনি রঙের আলু
ছোট্ট একটি সুপারি গাছ। লতা-পাতায় জড়ানো সেই গাছের কাণ্ড। আর সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে কালচে বেগুনি রঙের আলু। এর নাম গাছ আলু।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের মাছুয়াকান্দা গ্রামে এই আলুর দেখা মিলে।
আমাদের দেশে গাছ আলুর আরও ভিন্ন নাম রয়েছে। অঞ্চলভেদে মাছ আলু, মোম আলু, মেটে আলু, পেস্তা আলু, বাতাসী আলু নামে পরিচিত। এই আলু খাওয়ার যোগ্য। রান্না ও সেদ্ধ করার পাশাপাশি আগুনে পুড়িয়েও এই আলু খাওয়া যায়।
এই আলু গাছ বেড়ে ওঠার জন্য মাচা কিংবা বেড়ার প্রয়োজন হয় না। সামান্য মাটিতে বেড়ে ওঠার আশ্রয় পেলেই আশপাশে লতা-পাতা ছড়ায়।
তবে গাছ আলু চাষ করার জন্য উষ্ণ আবহাওয়া দরকার। ছায়াযুক্ত স্থানে গাছ আলুর ফলন ভালো হয় না। অনুকূল আবহাওয়ায় জৈব পদার্থসমৃদ্ধ বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ মাটিতে গাছ আলুর ফলন ভালো হয়।
তবে গাছ একবার ফলন দিয়েই মারা যায়। পরের বছর মূল থেকে নতুন চারা গজায়। গাছের কাণ্ডে ছোট ছোট কালচে বেগুনি রঙের আলু হয়। একই সঙ্গে মাটির নিচে বড় আকারের বাদামি রঙের আলু হয়। গাছটির মাটির নিচের অংশের আলু প্রতি বছর একটু একটু করে বড় হয়। আর গাছটির উপরের অংশে আলু প্রতি বছর জন্মে। উভয় আলু থেকেই বংশবিস্তার করা যায়।