পটুয়াখালীতে নদী দখল: বন্ধের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যারিকেড তৈরি করে নদী দখল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ব্যারিকেড তৈরি করে নদী দখল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পটুয়াখালী জেলায় একের পর এক দখল হচ্ছে খাল, নদী ও জলাধারগুলো। তবে এটি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো উদ্যোগ বললেই চলে। এই সুযোগে দেদারসে নদী দখলে এগিয়ে চলছে দখলকারীরা। প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এসব নদী দখলের নেতৃত্বে থাকায় বিষয়টি তেমন একটা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। বাড়তি ঝামেলায় না জড়াতে কেউ এই দখলের প্রতিবাদ করছেন না।

নদী দখলের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পটুয়াখালী শহরের ২নং বাঁধঘাট এলাকায় ডোনাভান স্কুল সংলগ্ন লোহালিয়া নদীর পাড়ে গাছ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে নদী দখল করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে এই দখল প্রক্রিয়া শুরু হলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো বাধা কিংবা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি। প্রভাবশালীরা এই দখল প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকায় কে বা কারা এই দখল করছে তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে রাজি নয়। তাইতো অনেকটা ফ্রি স্টাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধের মূল সিসি ব্লকের বাইরে গিয়ে এই দখল প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তবে এই এলাকায় এটাই প্রথম দখল নয়। এর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ডর সিসি ব্লকের বাইরের এলাকা ভরাট করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। আর ডোনাভান স্কুলের প্রবেশ গেটের বিপরীতে নদীর মধ্যে কাঠের খুঁটি দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। এই দোকান থেকে এখন প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা করে ভাড়াও নিচ্ছেন তিনি।

তবে দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় সরকারি জমি ও নদীর তীরভূমি সহ মূল নদী দখল করা হলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, নদী দখল বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন