ওরা খবরের ফেরিওয়ালা...

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

রাত গড়িয়ে সকাল হতে না হতেই পাঠকদের কাছে খবর পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করেন সংবাদপত্রের হকাররা। দেশ-বিদেশের খবর জানাতে প্রতিটি অফিস-আদালত ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পত্রিকা ফেরি করেন তারা। তাই তাদের খবরের ফেরিওয়ালাও বলা হয়ে থাকে।

তেমনি গাইবান্ধা জেলায় কয়েক ঝাঁক হকার সংবাদপত্র সরবরাহ করে আসছেন। তারা প্রতিদিন ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বাইসাইকেলের প্যাডেল চালিয়ে হাজির হন গাইবান্ধা শহরে। কারণ একটাই, পাঠকদের কাছে খবর পৌঁছে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, শহরস্থ পত্রিকার এজেন্ট আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর ও আব্দুল হাই মিয়ার কাছে হাজির হন হকাররা। পত্রিকা অফিস থেকে আসা অগোছালো পত্রিকার বান্ডিল খুলে গুছিয়ে নেন তারা। এরপর তাদের বাইসাইকেলের ক্যারিয়ারে হরেক রকম সংবাদপত্র নিয়ে ছুটে চলেন নিজ নিজ এলাকায়। সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন দেশ-বিদেশের খবরাখবরের সংবাদপত্র। তাই এদেরকে খবরের ফেরিওয়ালা বলে থাকেন অনেকে। তাদের এই নিরলস পরিশ্রমের কারণে এগিয়ে যাচ্ছে সংবাদপত্র শিল্প তথা এগিয়ে যাচ্ছে দেশের নানা সাফল্য।

পত্রিকার হকার মতলুবর রহমান ও শামীম মিয়া বলেন, মানুষ যখন আরাম আয়েশে ঘুমিয়ে পড়ে তখন নির্ঘুম রাত পোহাতে হয় আমাদের। কারণ সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলে পত্রিকা কিনতে চায় না পাঠকরা। এ জন্য রাত তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে সংবাদপত্র সরবরাহের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। যাতে করে সকালের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পাঠকের হাতে পৌঁছে দিতে পারি সংবাদপত্রগুলো।

বিজ্ঞাপন

আরেক হকার কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘একেবারেই দম ফেলার সময় নেই। দিনব্যাপী সংবাদপত্রগুলো বাকিতে সরবারহ করার পর সন্ধ্যায় আবার টাকা কালেকশন করতে হয়। ফলে স্ত্রী-সন্তানদের কাছেও সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। জীবন-জীবিকার তাগিদে ছুটতে খবর সরবরাহ করে আসছি।’

হকার মকুল মিয়া বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় এমনকি দিনব্যাপী বৃষ্টির মধ্যেও আমাদের কাজ থেমে থাকে না। বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে দেশের কাঙ্খিত খবরাখবর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। এই পারিশ্রম সন্তোষজনক না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশায় ভুগতে হচ্ছে। খবর ফেরি করে বেড়ানো পত্রিকার হকাররা থেকে যায় পর্দার অন্তরালে আলোচনার বাইরে।’