আর্দ্রতা হারাচ্ছে ত্বক?
শীতকাল আসতে দেরি নেই আর।
হয়তো দু’একদিনের মাঝেই ঝুপ করে হিম হিম শীতের কাঁপন শুরু হয়ে যাবে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখন থেকেই ত্বকে টানভাব দেখা দিচ্ছে ও ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠছে। যার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা তো হারাচ্ছে, সাথে দেখাচ্ছে একেবারেই নিস্প্রাণ। এছাড়া শুষ্ক ত্বক থেকে নানাবিধ চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার সম্ভবনা তো আছেই।
শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যা পোহাতে হয় ত্বক নিয়ে। তাই পুরোপুরি শীতকাল আসার আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। তবেই সুস্থ ও আর্দ্রতাপূর্ণ ত্বক পাওয়া সম্ভব হবে। ত্বকের যত্নে খুব সহজ তিনটি শীতকালীন ফেস প্যাকের বিবরণ জেনে রাখুন।
ওটস, কাঠবাদাম, মধু ও দইয়ের ফেস প্যাক
শুষ্ক ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্যে এই ফেস প্যাকটি খুবই উপকারী। বিশেষত মুখ, গলা, ঘাড়, হাত ও পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার জন্য এই ফেস প্যাকই ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
ফেস প্যাকটি তৈরিতে এক চা চামচ কাঠবাদামের পেস্ট, এক চা চামচ দই, দুই চা চামচ ওটস ও এক চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে।
অ্যালোভেরা, আমন্ড অয়েল ও গ্লিসারিন
শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে ত্বকের নিস্প্রাণ ভাব দূর করতে চাইলে অবশ্যই এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের শুষ্কতার উপর নির্ভর করে ৩০ মিনিট থেকে সারারাত পর্যন্ত এই ফেস প্যাকটি ত্বকে রাখতে হবে। অন্যান্য ফেস প্যাক থেকে এই ফেস প্যাকের পার্থক্য হলো, এর উপাদানসমূহের জন্য ত্বকের ভেতর থেকেই উপকারিতা পাওয়া যায়।
ফেস প্যাকটি তৈরিতে ৮ ফোঁটা আমন্ড অয়েল, আট ফোঁটা গ্লিসারিন ও এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল প্রয়োজন হবে।
গাজর ও মধুর ফেস প্যাক
শীতকালীন সময়ের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট ফেস প্যাকের মাঝে একটি হলো এই ফেস প্যাকটি। শীতকালীন তাজা গাজরের পেস্ট ও বিশুদ্ধ মধুর সমন্বয়ে তৈরি এই ফেস প্যাকটি ত্বকের শুষ্কভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
ফেস প্যাকটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে দুই টেবিল চামচ গাজরের পেস্ট ও এক টেবিল চামচ মধু। উভয় উপাদান একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।