ঘুম হোক গানের সঙ্গে
পুরো বিশ্ব জুড়ে বর্তমান সময়ের অন্যতম কমন শারীরিক সমস্যা হলো ঘুমজনিত সমস্যা।
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে শরীর ক্লান্ত থাকার পরেও, রাতে ঘুমাতে গেলে চোখ থেকে ঘুম উবে যায়। প্রতিদিন এমন সমস্যার মুখোমুখি হবার ফলে খুব সহজেই শরীরে ক্ষতিকর ও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেওয়া শুরু করে।
তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে দেখা গেছে, গান শোনার মাধ্যমে ঘুমের সমস্যা দূর করা সম্ভব। গবেষকেরা জানান, গান মানসিক চাপ ও শারীরিক ব্যথার প্রভাব কমায়। পরীক্ষা থেকে তারা আরও দেখেছেন, গানের আওয়াজের ফলে ঘুমকে বাধাপ্রাপ্তকারী ইন্টারনাল অথবা এক্সটার্নাল ‘সমস্যা’ দূরে থাকে। ফলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া যায়। নানান দিক বিবেচনা করে গানকে তারা বিশেষায়িত করেছে সবচেয়ে সুলভ, নন-ফার্মাসিউটিক্যাল ঘুমের ওষুধ হিসেবে।
ঘুমের সমস্যাযুক্ত প্রায় ৬৫০ জন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের উপর পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ মানুষের ঘুমের সমস্যা দূর হয়েছে গান শোনার অভ্যাস গড়ে তোলার ফলে। আরও দারুণ বিষয় হচ্ছে, ঘুমের সমস্যা নেই এমন অনেকেই ঘুমের আগে গান শুনতে অভ্যস্ত ও তাদের ঘুম অন্যান্যদের চাইতে বেশ ভালো হয়।
এখানে তো শুধু একটি গবেষণার বিষয়ে জানানো হলো। ঘুমের সঙ্গে গানের সম্পর্ক নিয়ে পূর্বেও বেশ অনেকগুলো গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। অন্যান্য গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গান নিউরোলজিক্যাল ও সাইকোলজিক্যাল ক্ষেত্রে বেশ ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। যার ফলাফল স্বরূপ ঘুমের সমস্যা কমে যায় অনেকটা।
এছাড়া শরীরের কেমিক্যাল চেঞ্জ এবং হরমোনের তারতম্যও ঘটে গান শোনার ফলে। পছন্দের ও প্রিয় গান শোনার ফলে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যা মন ও শরীরকে রিল্যাক্স করতে এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
তবে গান শোনার পাশপাশি কিছু খাদ্য উপাদান ঘুম দ্রুত আসতে ও ঘুম ভালো হতে অবদান রাখে। ঘুমের ঘণ্টাখানেক আগে এক কাপ গরম দুধ হতে পারে পারফেক্ট ঘুমের ওষুধ। দুধের ট্রাইটোফেন ও অ্যামিনো এসিড সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
অন্যদিকে কাঠবাদাম, কলা, ক্যামোমাইল চা ও ডার্ক চকলেটকে ঘুমের ক্ষেত্রে খুব উপকারী উপাদান হিসেবে বিবেচিত খাদ্য উপাদান হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: পানি পান করুন ঘুমানোর আগে
আরও পড়ুন: ঘুমের সমস্যা নিয়ে আর নয় দুশ্চিন্তা!