খাদ্যাভাসে রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপ হলো সবচেয়ে কমন ও প্রাণঘাতী শারীরিক সমস্যা।
তবে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস ও জীবন ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগালহীন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠিতে আনা সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য (DASH- Dietary Approaches to Stop Hypertension) নামক বিশেষ একটি খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এই পরিকল্পনায় থাকা খাদ্য উপাদানগুলোকে নির্বাচন করা হয়েছে খাদ্যে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও স্বল্প মাত্রার সোডিয়ামের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। স্বাস্থ্যকর এই পুষ্টি উপাদানসহ কিছু খাদ্যের নাম জেনে রাখুন, যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
বিটরুট
বিটরুট খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। কিন্তু প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ বিটরুটের জুস রক্তচাপকে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ৫০০ মিলিগ্রাম বিটরুটের জুস পান করার তিন ঘন্টার মাঝে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরে থাকা কেমিক্যালকে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত করে বিটরুটের জুস।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটও শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। সেই সঙ্গে ডার্ক চকলেটের কোকোয়াতে থাকা পলিফেনলসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। জার্নাল অফ নিউট্রিশন সুপারিশ করে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে মাত্র দুই সপ্তাহে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে যায়।
আনার
উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে উপকারী কোন ফলের নাম জানতে চাইলে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আনারের কথা। এই ফলটি বেদানা নামেও পরিচিত। দুই-তিন টেবিল চামচ পরিমাণ আনারের রস পান করলে সারাদিন ভর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে থাকা পলিফেনল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপকে কমাতে কাজ করে।
ওটস
খাদ্যাভাসে ওটস শুধু ওজনকে নয়, নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাড়তি রক্তচাপকেও। এছাড়া পরীক্ষা থেকে আরও দেখা গেছে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কার্যকরি আঁশযুক্ত এই খাবারটি।
রসুন
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রসুনের ব্যবহার বহু পুরনো। এমনকি একে ‘বিপি রিডিউসিং সুপারফুড’ হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। রসুন মূলত সেই সকল হরমোনের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তবাহী নালিকাকে সরু করে তোলে। হুট করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে এক কোয়া রসুন কুঁচি ও এক পিস লেবুর রস, এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আনার: প্রতি দানায় সুস্বাস্থ্য
আরও পড়ুন: অনবদ্য খাদ্য উপাদান ওটস