চুল পড়ছে বেশি?
ঋতুর বদলে শুধু প্রকৃতি নয়, শুষ্ক হয়ে ওঠে ত্বকও।
বিশেষ করে পুরো শীতকাল জুড়েই শরীর শুষ্ক থাকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে। ফলে মুখ ও হাত-পায়ের ত্বকের পাশপাশি শুষ্কতা দেখা দেয় মাথার ত্বকেও। যার দরুন চুল পড়ার হার স্বাভাবিক সময়ের চাইতে বেড়ে যায় অনেকটা। যে কারণে অনেকেই অভিযোগ করেন শীতকালে চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চুল পড়া কমাতে ও চুলের যত্ন নিতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে প্রাকৃতিক এই দুইটি উপাদান।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে থাকে প্রোটোলাইটিক (Proteolytic) এনজাইম। যা মাথার ত্বকের মরা কোষের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়া চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতেও কাজ করে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং চুলকে কোমল করে অ্যালো জেল। চুল পড়া কমানো ও চুল কোমল করার পাশাপাশি মাথার ত্বক কিংবা স্ক্যাল্পের অ্যালার্জি ও খুশকির সমস্যাও কমায় প্রাকৃতিক এই উপাদানটি।
যেভাবে ব্যবহার করবেন অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা পাতার উপরের শক্ত অংশ কেটে পাতার মাঝখান থেকে জেলির অংশটি চামচের সাহায্যে তুলে নিতে হবে। দুই টেবিল চামচ জেলি একটি বাটিতে ভালোভাবে হুইস্ক করে নিতে হবে। জেলি স্মুদ হয়ে আসলে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে। পুরো মাথার চুলে অ্যালোভেরা লাগানো শেষে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু ছাড়া চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ডিম
চুলের উপকার ও পরিচর্যায় ডিম অন্যতম উপকারী উপাদান হিসেবে বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেকোন আবহাওয়ায় চুল পড়া কমাতে ও রোধ করতে ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন-বি১২, আয়রন, জিংক ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড চমকপ্রদ কাজ করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন ডিম
ডিমের হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য পরিষ্কার বাটিতে একটি ডিম ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিতে হবে। অলিভ অয়েল না থাকলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। ভালোভাবে হুইস্ক করার পর স্মুদ টেক্সচার তৈরি হবে। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে মাথায় হেয়ার ক্যাপ পরে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বেড়েছে খুশকির সমস্যা?
আরও পড়ুন: জটবিহীন সুন্দর চুল!