ভ্রমণে কী রাখবেন সাথে?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ভ্রমণ হোক আনন্দময়। স্থান: ক্রাংসুরি ফলস, ভারত। ছবি কৃতজ্ঞতা: নাবিলা শুভা।

ভ্রমণ হোক আনন্দময়। স্থান: ক্রাংসুরি ফলস, ভারত। ছবি কৃতজ্ঞতা: নাবিলা শুভা।

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি।

হালকা শীত ও রোদ্দুরের মিষ্টি আলোর মিশেলে চমৎকার এই আবহাওয়ায় ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কেউ। বছরের এই শেষ সময়ে কাঙ্ক্ষিত স্থানে ভ্রমণের সুযোগে থাকেন ভ্রমণ পিপাসুরা। সময় পেলেই ব্যাগপ্যাক কাঁধে বেরিয়ে পড়েন সমুদ্র কিংবা সুবিশাল পাহাড়ের উদ্দেশ্যে।

ইতোমধ্যে অনেকেই পছন্দের স্থানে ঘুরে এসেছেন, অনেকেই বেড়িয়ে পড়েছেন এবং অনেকেই ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিংবা দেশের বাইরে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন যারা তাদের জন্যেই আজকের এই ফিচার।

পূর্বে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলেও প্যাকিং এর সময় প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বাদ পরে যায়। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় ঘোরাঘুরির মাঝে। ভ্রমণে বের হবার আগে তাই পুনরায় দেখে নিন, প্রয়োজনীয় সকল কিছু নেওয়া হয়েছে কিনা।

স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/27/1543315604546.jpg

মুখের জন্য ময়েশ্চারাইজার, লিপবাম, সানস্ক্রিন, হাত ও পায়ের জন্য বডি লোশন নিতে হবে অবশ্যই। নইলে ত্বকের নানা ধরণের সমস্যা ও রোদেপোড়া ভাব নিয়ে ফিরতে হবে ভ্রমণ শেষে।

জামাকাপড়

ব্যাগে সবার প্রথমে অবশ্যই জামাকাপড় গোছানো হয়। তবে হিসাব করে দেখুন, কতদিনের ট্রিপের জন্য কতগুলা জামাকাপড় প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে জিন্স-ফতুয়াতে স্বাছন্দ্য বোধ করলে দুইটি জিন্সের প্যান্টের সঙ্গে চার-পাঁচটি ফতুয়া নেওয়া যাবে অনায়াসে। সঙ্গে রাখতে পারেন ট্রাউজার, টি-শার্ট ও কামিজ। ছেলেদের ক্ষেত্রে কম্ফোর্টেবল টি-শার্ট ও দুইটি জিন্স নেওয়াই যথেষ্ট।

যেহেতু শীতের মাঝে ভ্রমণে বের হবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, একটি ভারি সোয়েটার বা জ্যাকেট, হাতাকাটা সোয়েটার একটি ও মাফলার নিতে ভুলবেন না।

অন্তর্বাস ও হাবিজাবি

এই বিষয়ে ভুল করলে ভীষণ বিব্রতকর সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় অন্তর্বাস গুছিয়ে রাখুন। সঙ্গে মোজা, মাথার টুপি, স্থান বিবেচনায় হাত মোজাও নিয়ে নিতে হবে। পায়ের জুতা বাদে এক জোড়া বাড়তি জুতা ও হালকা হাঁটাচলার জন্য এক জোড়া চপ্পলকেও রাখতে হবে তালিকায়। এছাড়া গামছা কিংবা তোয়ালেও যেন ব্যাগে নেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ওষুধ ও অন্যান্য

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/27/1543315620456.jpg

আপনি যদি মেডিকেশনের মধ্যে থাকেন তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ নিতে হবে। প্রয়োজনে কিছুটা বাড়তি ওষুধ নিতে হবে এবং বের হবার আগে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে ব্যাগে ওষুধগুলো ঠিকমতো আছে কিনা। মেডিকেশনের মধ্যে না থাকলেও জ্বর, ঠান্ডা-কাশি, মাথাব্যথার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখতে হবে সঙ্গে। ওষুধের সঙ্গে ব্যান্ড এইড, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও মশার অত্যাচার থেকে দূরে থাকতে ওডোমস ক্রিমেরও প্রয়োজন হবে ভ্রমণে।

অনুষঙ্গ

এই তালিকায় থাকবে সানগ্লাস, বডি স্প্রে, হাত ঘড়ি, পানি খাওয়ার বোতল, সাধারণ ও ওয়েট টিস্যু পেপার, চিরুনির মতো ছোটখাটো জিনিস।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/27/1543315639597.jpg

ভ্রমণে বের হচ্ছেন অথচ সঙ্গে যদি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ না থাকে তবে বিপত্তি দেখা দিবে। মোবাইল ফোনের কথা নিশ্চয় আলাদাভাবে মনে করিয়ে দিতে হবে না। সঙ্গে রাখুন মোবাইল চার্জার, ইয়ারফোন, পাওয়ার ব্যাংক, টর্চ ও এক্সট্রা ব্যাটারি।

টয়লেট্রিজ

ব্রাশ, পেস্ট, ছোট সাবান, মিনি প্যাক শ্যাম্পু ব্যাগে নিয়ে নিতে হবে মনে করে। কারণ দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পে গেলে এই সকল জিনিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া ভ্রমণের ধরণ বুঝে দড়ি, মোমবাতি, কাঁচি, ছোট ছুরি রাখতে হবে ব্যাগে।

তালিকা দেখে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। নূন্যতম তিনদিনের ভ্রমণের জন্যেও উপরে উল্লেখ করা প্রতিটি জিনিস প্রয়োজন হবে। ঠিকভাবে গুছিয়ে নিতে পারলে স্বল্প স্থানের মাঝেই সকল পণ্য নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: ভ্রমণ করুন সুস্থ থাকুন!

আরও পড়ুন: ১২ কারণে গড়ে তুলুন বই পড়ার অভ্যাস

   

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;

নারী শরীরে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর এর প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি। মানবশরীরের গলায় কণ্ঠমণির ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এই ছোট অঙ্গটি শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন হরমোনের সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে এই অঙ্গ।

বিপাক নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং শারীরিক বৃদ্ধিসহ অনেক অভ্যন্তরীণ শারীরিক কাজে ভূমিকা রাখে থাইরয়েড। এর ফলে এই গ্রন্থি আমাদের হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্র, ওজন এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

থাইরয়েড মূলত দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে। থাইরক্সিন (টি৪) এবং ট্রায়োডো থাইরোনিন (টি৩)। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড এইসব হরমোন উৎপন্ন করে। সেখান থেকেই তা নিঃসৃত হয় এবং সমগ্র শরীরের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের নানাবিধ কাজে থাইরয়েড প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। থাইরয়েডের সক্রিয়তা তাই শরীরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তবে, থাইরয়েডের উৎপাদনকৃত হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হরমোন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।  

অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় (হাইপারথাইরয়েডিজম)। ফলে শরীরের বিপাক দ্রুত হয়। হাইপারথাইরয়েডের কারণে ওজন হ্রাস, হাত কাঁপানো এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সমস্যা দেখা যায়। এইজন্য পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা হলো পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হওয়া। এর কারণে শরীরে ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ধীর হৃদস্পন্দনের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এমনকি হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম উভয় কারণেই স্বাভাবিক মাসিক ব্যাহত হতে পারে। মাসিক ধরনের পরিবর্তন হওয় যেমন কম হওয়ার বা একেবারেই না হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

তাছাড়া, সেক্স হরমোনের সাথেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি মায়ের থেকে থাইরয়েঢের হরমোন জনিত জটিলতার কারণে গর্ভের সন্তানের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। যেমন- গর্ভপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, অকাল জন্ম এবং শিশুর কম বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা।

তাই থাইরয়েডের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত।  

;

যেসব খাবার গরম করে খাবেন না



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবার জীবনযাত্রায় ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আমরা যে খাবারই খাই না কেন, শরীর এবং মস্তিষ্কে তার স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পরে। তাই স্বাস্থ্যে খাদ্যাভাসের বিশেষ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই প্রতিদিনের খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়।

বিশ্বব্যাপী খাবার গরম করে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবার গরম করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার কখনোই গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ সব খাবার গরম করলে ভালো থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ক্লিনিকাল ডায়েটেশিয়ান গরিমা গয়াল এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন এমন কিছু খাবারের নাম যা কখনোই গরম করে খাওয়া যাবে না।

ভাত: চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। সাধারণ তাপমাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়া ভাতকে অনেক্ষণ ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু ভাত বার বার গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের টক্সিন ভাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

চা: বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চা তে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়াও চায়ের স্বাদও অনন্য। স্বাস্থ্য ও রুচিভেদে মানুষ বিভিন্ন রকমের চা সেবন করে থাকে। এতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। চা যখন বানানো হয় তখন এতে ট্যানিন এবং ক্যাটেচিনের মতো কিছু যৌগ নির্গত হয়। চা আবার গরম করা হলে এতে থাকা ক্যাফিন ঘনীভূত হয়ে। এতে চায়ের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে পিএইচও পরিবর্তন হয়। স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে হানি সৃষ্টি করতে পারে।

মাশরুম গরম করে খাবেন না

মাশরুম: মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটা খাবার হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত আর্দ্রও হয়। এই কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাশরুমে পলিস্যাকারাইড থাকার কারণে বার বার গরম করায় প্রোটিনগুলো পরিবর্তন হয়ে বিকৃত কাঠামো ধারণ করে।

পালং শাক: পালং শাক অত্যন্ত উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন রয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং সি। রান্না করা পালং শাক বার বার গরম করলে তাপের কারণে এইসব ভিটামিনের গঠন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় ভিটামিনের পুষ্টিমানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও শাকে নাইট্রেট থাকে। পুনরায় গরম করা হলে তা নাইট্রাইটে পরিণত হয় । এছাড়াও পালং-এ থাকা উদ্ভিদ ভিত্তিক আয়রন প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

তেল: রান্নার সময় যখন তেল প্রথমবার ব্যবহার করা হয় তখন তা কড়াইতে ঢেলে কিছুটা গরম করে নেওয়া হয়। একবার গরম করে ঠান্ডা হওয়া তেল আবার গরম করে রান্না করলে সেটা রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বারবার গরম-ঠান্ডা চক্র অতিবাহিত করা তেলের মধে্‌য ট্রান্স ফ্যাট এবং অ্যালডিহাইড ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়। এতে খাবারের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস                   

;

ঈদে ভিন্নধর্মী নবাবী নাটি সেমাই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নবাবী নাটি সেমাই

নবাবী নাটি সেমাই

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ। পবিত্র রমজান মাস শেষে স্বস্তির নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপনে মেতে ওঠে সবাই। ভালো-মন্দ খাবার ছাড়া ঈদ যেন অসম্পূর্ণ, আর মিষ্টি ছাড়া তো কল্পনাও করা যায়না। ঈদে মিষ্টি মুখ মানেই সেমাই। প্রতিবার সেই একই দুধে ভেজা সেমাই না করে এবার ঈদে হোক ভিন্ন কিছু। জেনে নিই, কিভাবে রাধবেন নবাবী নাটি সেমাই:
সেমাই রান্না করতে আমাদের লাগবে-
১. লাচ্ছা সেমাই, ২. লিকুইড খাঁটি গরুর দুধ (জ্বাল করে ঠান্ডা করা), ৩. ঘি, ৪. কাজুবাদাম, ৫. পেস্তা বাদাম, ৬. কাঠবাদাম, ৭. গুড়া দুধ, ৮. চিনি, ৯. কর্ন ফ্লাওয়ার, ১০. টিন ক্রিম, ১১. কাস্টার্ড পাউডার, ১২. কনডেন্স মিল্ক, ১৩. কিসমিস।

পদ্ধতি: 
১. প্রথমে একটি বড় ফ্রায়িংপ্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি নেই। তাতে কুচি করে রাখা ১/৪ কাপ কাজুবাদাম, ১/২ কাপ কাঠবাদাম এবং ১/৪ কাপ পেস্তা বাদাম কুচি ঢেলে দেই। হাল্কা রঙ করে ভেজে নেই। বাদামগুলো তুলে নেই। একই প্যানে ৩ টেবিল চামচ মাখন বা ঘি দিয়ে দিন। (তেল ব্যবহার করা যাবে না)।
২. গরম ঘি-তে ৪০০ গ্রাাম লাচ্ছা সেমাই এবং ৪ টেবিল গুড়া দুধ নিব। এর সাথে ১/২ কাপের বেশি চিনি দিন। সবকিছু একত্রে ভেজে নিব। চিনি গলে মিশে যাওয়া অবধি মিশিয়ে নেই। ভালোভাবে মিশিয়ে নেই।
৩. সার্ভিং প্লেট বা বোলে ২/৩ তৃতীয়াংশ ভাজা সেমাই তুলে রাখি। সমান ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে লেয়ারের মতো তৈরি করে বিছিয়ে নেই। বাকি ভাজা সেমাইগুলো সরিয়ে রাখি।
৪. ফিলিং তৈরি করতে, প্রথমে ১ লিটার জ্বাল করে ঠান্ডা করে নেওয়া ল্কিুইড দুধ নেই। তাতে ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার দেই। ১টি টিন-ক্রিমের ২/৩ অংশ দিন। তার সাথে ২ টেবিল কাস্টার্ড পাউডার, ৪ টেবিল চামচ গুড়া দুধ এবং ১/২ কাপ কনডেন্স মিল্ক (স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে/কমিয়ে নিন) নিয়ে নিন।
৫. সব ভালোভাবে মিশিয়ে চুলা ধরিয়ে জ্বাল করে নিন। অল্প আঁচে রান্না করতে থাকুন। এভাবে জ্বাল করে নাড়তে নাড়তে ঠান্ডা করে নিন। সার্ভিং বোলে বিছিয়ে রাখা সেমাইয়ের উপর গরম অবস্থাতেই পুরো মিশ্রন ঢেলে দিন।
৬. দুধের মিশ্রনের উপর বাকি রেখে দেওয়া সেমাইগুলোও দিয়ে দেই। এর উপর কাজু, কাঠ এবং পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে দিই। সাথে আস্ত কিসমিসও দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করি।

;