কেন খাবেন মুলা?
শীতকালীন উপকারী সবজীদের মাঝে মুলা থাকবে উপরের সারিতে।
সবজী খেতে যারা পছন্দ করেন, তারাও অনেক সময় এই সবজীটির নাম শুনে নাক কুঁচকে ফেলেন। ব্যতিক্রমী গন্ধের জন্য অনেকেই মুলা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। অথচ পুরো শীতকাল জুড়ে মুলা না খাওয়া হবে সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত। প্রাকৃতিক সকল খাদ্য উপাদানই কিছু না কিছু উপকারিতা বহন করে। মুলায় থাকা ফলেট, রিবোফ্লাবিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা জানতে পড়ে নিন আজকের ফিচারটি। উপকারিতা।
সুস্থ রাখে হৃদযন্ত্র
হৃদরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনয়ত। নিজেকে নানাবিধ হৃদরোগের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে মুলা খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন। এই সবজীতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান, হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। যার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।
নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ
মুলায় থাকে পর্যাপ্ত মাত্রার পটাশিয়াম। উপকারী এই মিনারেল রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ত্বককে সুন্দর রাখে
একাধিক পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, নিয়মিত মুলা খাওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিন-সি, জিংক ও ফসফরাসের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে ত্বকের উন্নতি ঘটে অল্প সময়ের মাঝেই। এছাড়া একাধিক ত্বকের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
মুলা ও মুলা পাতায় থাকা আয়রন ও ফসফরাস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে কাজ করে। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে এই সবজীটি উপকারী।
ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়
গবেষণালব্ধ তথ্য সুপারিশ করে, নিয়মিত মুলার পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর সুস্থ থাকে কোন শারীরিক সমস্যা ছাড়াই।
ক্ষতিকর টক্সিক পদার্থ বেরিয়ে যায়
ব্লাডার, কিডনি, প্রস্টেট ও ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদানদের শরীর থেকে বের করে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রাকৃতিক এই সবজী উপাদানটি অতুলনীয়। শুধু তাই নয়, শরীরে লুকায়িত টক্সিক উপাদানদের কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার কাজটা করে থাকে মুলার রস।
কমায় শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্টের সঙ্গে হাঁচি-কাশির সমস্যা থাকলে মুলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। মুলার রস ফুসফুসে জমে থাকা মিউকাসের দেওয়ালকে ভেঙে দেয়। ফলে অল্প দিনেই শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: আমলকির সঙ্গে হোক শীতের শুরু
আরো পড়ুন: মুঠো ভরা সুস্থতা!