ওজন কমবে ডায়েট ছাড়াই!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাড়তি ওজনকে কমাতে চাইলে সঠিক ডায়েট মেনে চলা সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরি উপায়।

নতুন ডায়েটের নিয়ম মেনে চলার জন্য খাদ্যাভাসে বড়সর পরিবর্তন নিয়ে আসা প্রয়োজন হয়। যার সঙ্গে অনেকেই মানিয়ে নিতে পারেন না।

এছাড়া প্রতিদিন ডায়েটের নিয়ম মেনে খাবার তৈরি করা ও সময় মেনে খাবার খাওয়াটাও বেশ ঝামেলার বিষয়। ক্লাস কিংবা অফিসের ব্যস্ততা থাকলে ডায়েট মেনে চলা ভীষণ কষ্টকর হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ওজন কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পিছিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

গৎবাঁধা ডায়েটের ঝামেলা থেকে নিজেকে দূরে রেখেও ওজন কমানো সম্ভব খুব ভালোভাবেই। তবে তার জন্য মানতে হবে ছোট কয়েকটি সহজ নিয়ম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/22/1545458126598.jpg

বিজ্ঞাপন

ভোরে শরীরচর্চা করা

সকাল সকাল ঘুম ওঠা স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অলসতা ভেঙে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সসারসাইজ করতে হবে ৩০-৪৫ এর মতো। সকালে শরীরচর্চা করার ফলে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পায়। যা সারাদিনভর কাজ করে। মেটাবলিজমের হার যত বেশি হবে, ওজন তত দ্রুত কমবে।

সকালের নাস্তা খেতে হবে পেট ভরে

সকালের নাস্তা খেতে পছন্দ করেন না বিধায় নাস্তা না খেয়েই দিনের শুরু করেন অনেকে। যা একেবারেই অনুচিত। পুরো দিনের মাঝে সকালের নাস্তা করা প্রয়োজন সবচাইতে বেশি। এমনকি দিনের অন্যান্য সময়ের খাবারের মাঝে সকালের নাস্তা খাওয়া প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। সকালে ভরপেট নাস্তা খাওয়ার ফলে মেটাবলিজমের হার বাড়ে এবং সারাদিনভর ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়া কমে। যা পক্ষান্তরে ওজন কমাতে সহায়ক।

জোর দিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবারে

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/22/1545458111233.jpg

একদম ধরাবাঁধা কোন ডায়েট মেনে চললেও, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না একদম। অস্বাস্থ্যকর খাবার শুধু ওজনকে বাড়িয়ে দেয় না, স্বাস্থ্যকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক সবজি, ফল, বাদাম ও তৈলাক্ত মাছ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে সবসময়।

পান করতে হবে কফি

চিনিবিহীন কফি পানে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বাড়তি ওজন কমতেও সাহায্য করবে। ব্ল্যাক কফি পানে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পায়, যা স্থায়ী হয় পরবর্তী তিন ঘন্টা পর্যন্ত।

একটা আপেল প্রতিদিন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/22/1545457940866.jpg

আগেই বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তোলার বিষয়ে। ফল অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান এবং যেকোন ফলের মাঝে আপেল হলো সবচেয়ে বেশি উপকারি। প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার অভ্যাস ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কাজ করবে। বিশেষত বাইরে যাওয়ার আগে অন্য যেকোন খাবারের পরিবর্তে একটি আপেল হতে পারে পারফেক্ট চয়েজ।

অহেতুক কেনাকাটার অভ্যাস বাদ দিতে হবে

বিশ্বাস করুন, অকারণ কেনাকাটা ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী। সুপার শপে ঘুরে ইচ্ছামতো বিভিন্ন ধরণের খাবারের জিনিস কিনতে সবসময়ই ভালো লাগে। এই সকল খাবারের জিনিস নিশ্চয় ফেলে রাখা হয় না। ঝোঁকের বশে কিনে ফেলা এই সকল খাবার পরবর্তিতে বাড়তি ক্যালোরি যোগ করে। এটা নিশ্চয় জানা কথা যে, বাড়তি ক্যালোরি মানেই বাড়তি ওজন।

তাড়াতাড়ি খেতে হবে রাতের খাবার

রাত ১০ কিংবা ১১ টার আগে রাতের খাবার খাওয়া হয় না বেশিরভাগ বাসাতেই। এই অভ্যাসটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। রাতের খাবার অবশ্যই রাত ৮-৯ টার মাঝেই খেয়ে নিতে হবে। এতে করে রাতের খাবার পরপরই ঘুমিয়ে পরা হবে না এবং সকালের নাস্তার আঘে অন্তত ১০-১২ ঘণ্টার লম্ব একটা গ্যাপ পাওয় যাবে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: ব্যস্ততা ও সুস্থতা থাকবে একসাথে!

আরো পড়ুন: যেভাবে তাড়াবেন মধ্যরাতের ক্ষুধা