খাদ্যাভাসের যে পাঁচ বদভ্যাসে কমছে না ওজন
বাড়তি ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি সচেতনতা ও ইচ্ছাশক্তি।
খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়া কখনোই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন সমাধান নয়। বরং এতে শরীরের ক্ষতি হয় অনেক বেশি। যে কারণে ওজনকে নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠির মাঝে রাখতে সঠিক নিয়ম মেনে চলার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে সঠিক খাদ্যাভাস।
ওজন কমানোর সঙ্গে খাদ্যাভাসের গভীর যোগসূত্রতা থাকার ফলে অন্যান্য নিয়ম মেনে যথেচ্ছা খাদ্যাভাস বজায় রাখলে কোন ফলই পাওয়া যাবে না। বরং কিছুক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার পরেও খাদ্যাভাসের অনিয়মে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। জেনে রাখুন খাদ্যাভাসের কোন পাঁচটি বদভ্যাসে আপনার ওজন কমছে না।
পছন্দের খাবার সর্বত্র
রান্নাঘর থেকে শুরু করে ডাইনিং টেবিল, রেফ্রিজারেটর, এমনকি শোবার ঘরের ক্লজেটেও পছন্দের খাবার রাখা থাকলে সেটা খেতে ইচ্ছা হবেই। স্বাভাবিকভাবে পছন্দের খাবারগুলো খুব একটা স্বাস্থ্যকর কোন খাবার হবে না। এক-দুইদিন এই ইচ্ছাকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা সম্ভব হলেও, একটা সময় পর ঠিকই কোন না কোন খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এইভাবেই সময়ে-অসময়ে বিভিন্ন ধরণের ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ওজনটাও নাগালের বাইরে।
সকালের নাস্তা না করা
ওজন কমাতে গিয়ে যদি সকালে নাস্তা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন তবে সবচেয়ে বড় ভুল করবেন। বরং সকালে ভরপেট নাস্তা খাওয়া ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে বলে জানাচ্ছে গবেষক ও নিউট্রিশনিস্টরা। চেষ্টা করতে হবে সকালের নাস্তায় আঁশ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন- এ ও সি, রিবোফ্লাভিন, জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জন্য। নিয়ম হলো সকালে সবচেয়ে বেশি খাবার খাওয়া। এতে করে শরীর সারাদিনের জন্য তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে যায় এবং ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না।
খাওয়ার সময় অন্য কাজ করা
খাবার খাওয়ার সময় অন্য যেকোন কাজে মনোযোগ সেই কাজের দিকেই চলে যায়। অফিসের ফাইল দেখা, মোবাইল সার্ফ করা, মুভি দেখা কিংবা বই পড়ার সময় মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে ডাইভার্ট হয়ে যায়। ফলে কি খাবার খাওয়া হচ্ছে কতটুকু পরিমাণে, সেটা একেবারেই খেয়াল করা হয় না। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়ে যায়। বাড়তি এই ক্যালোরি শরীরে জমে থাকে বলে ওজনটাও বেড়ে যায় অনেক।
প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া
আপনার যদি প্যাকেটজাত খাবার বেশি খাওয়া হয়ে থাকে তবে ওজনকে কখনোই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। প্যাকেটজাত খাবার মানেই হলো বাড়তি ক্যালোরি। চিপস, বিস্কুট, ওয়েফার, ক্যান্ডি, চানাচুর, কেক প্রভৃতি খাবারে পুষ্টিগুণ থাকে না মোটেও। ফলে এই সকল খাবার থেকে নিজেকে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে সবসময়।
দৌড়ের উপর খাওয়া
কাজের ব্যস্ততায় হয়তো খাবার খাওয়ার কথা মনে নেই একেবারেই। তাই অফিসে যাওয়ার পথেই কিনে নিলেন শর্মা বা স্যান্ডউইচ, সাথে অরেঞ্জ জ্যুস। আপাতদৃষ্টিতে এইসকল খাবার নিরীহ মনে হলেও, ওজন বৃদ্ধির জন্য এই খাবারগুলোই দায়ী। ব্যস্ততার মাঝে সহজ কোন খাবার খাওয়ার জন্য যে সকল খাবার বেছে নেওয়া হয় তার প্রায় সবগুলোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: আয়ু কেড়ে নিচ্ছে এই খাবারগুলো
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস কঠিন কিছু নয়!