শরীরে সঞ্চালন বাড়াবে যে খাবারগুলো

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শরীরের সঞ্চালন বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সেটা একটু পরিষ্কার করে বলা যাক।

রক্ত চলাচল, অক্সিজেনের চলাচলকেই এখানে সঞ্চালন বলা হচ্ছে। অক্সিজেন ও রক্ত চলাচলের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পুষ্টি উপাদান সঞ্চালিত হয়। তবে এক্ষেত্রে প্রায়শ বাধাপ্রাপ্ত হয় ক্লগড আর্টারি ও প্লাকের কারণে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খোঁচা খাওয়ার মতো অনুভূতি, অবশভাব ও পেশীর ব্যথাভাব দেখা দেয়।

শরীরে রক্ত ও অক্সিজেনের সঞ্চালনকে স্বাভাবিক ও বাধাহীন রাখতে কিছু খাদ্য উপাদান বেশ উপকারী। এমন কয়েকটি খাদ্য উপাদানের নাম তুলে ধরা হলো।

বিজ্ঞাপন

ডার্ক চকলেট

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/26/1548490344427.jpg

ভাবছেন ডার্ক চকলেট কীভাবে সঞ্চালনে সাহায্য করবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেস্ট্রোঅ্যাকটিভ মেডিসিন সেন্টারের কার্ডিওলজিস্ট ও ডিরেক্টর জানান, পরিমিত মাত্রায় ডার্ক চকলেট গ্রহণে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। যা শিরা ও হৃদযন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কোকোয়াতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি আরও জানান, ৭২ শতাংশ ও তার অধিক কোকোয়া সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট বেশি উপকারিতা বহন করে।

বিজ্ঞাপন

বিটরুটের জ্যুস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/26/1548490235795.jpg

সুস্বাস্থ্যের জন্য বিটরুট উপকারী প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান। কারণে এতে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট রয়েছে, যা রক্ত চলাচল ও পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহতে অবদান রাখে। সে কারণেই নিয়মিত বিটরুটের জ্যুস পান সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়া বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে নিয়মিত এক কাপ পরিমাণ বিটরুটের জ্যুস উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কাঁচামরিচ

আপনি যদি ঝাল খেতে পছন্দ করেন তবে রয়েছে সুসংবাদ। কাঁচামরিচ পুরো শরীরেই রক্ত চলাচলের মাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে ত্বরান্বিত করে। চায়নিজ অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সাইন্স এর গবেষক আর্নেট ইলনাহার জানান- এক মিলিয়নের অধিক নারী ও পুরুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কাঁচামরিচ গ্রহণ করেন তাদের হৃদরোগ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা ১৪ শতাংশ কমে যায়।

হলুদ

হলুদ গুঁড়াকে বলা হয়ে থাকে ‘সোনালি মশলা’। কারণ বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত এই মশলাটির অসংখ্য উপকারিতা। বিশেষত ক্লগড আর্টারির সমস্যা দূর করতে এবং রক্ত চলাচল দ্রুত করতে কাজ করে হলুদে থাকা বিশেষ কেমিক্যাল উপাদান কারকিউমিন। তবে শুধু হলুদ গুঁড়ার উপকারিতা শরীরে ভালোভাবে শোষিত হতে পারে না। এ কারণে কালো গোলমরিচের সঙ্গে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: কাঁচামরিচের কত গুণ!

আরও পড়ুন: ডার্ক চকলেট খেতে পারবেন নিশ্চিন্তে!