বৈশাখ স্পেশাল রেসিপি
ভেটকি মাছের বেগম বাহার
ইলিশ মাছ ছাড়াও অন্যান্য সহজলভ্য ও সুলভ মূল্যের মাছ দিয়ে তৈরি করা যায় নানা ঘরানার মুখরোচক মাছের পদ। বার্তা লাইফস্টাইলের আয়োজনে আপনাদের জন্য থাকবে ইলিশ ব্যতীত অন্যান্য মাছের বিভিন্ন ধরনের পরিচিত ও অপরিচিত মাছের রেসিপি।
ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজকের পর্বে দেখে নিন ‘ভেটকি মাছের বেগম বাহার’ তৈরির রেসিপি।
ভেটকি মাছের বেগম বাহার তৈরিতে যা লাগবে
৬-৭ টুকরা ভেটকি মাছ।
বিজ্ঞাপন
প্রথম ধাপ মেরিনেশনের জন্য লাগবে
১. ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
২. ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৩. ১/২ চা চামচ লবণ।
৪. ১ টেবিল চামচ লেবুর রস।
দ্বিতীয় ধাপ মেরিনেশনের জন্য লাগবে
১. ১টি ডিম।
২. ২ টেবিল চামচ ময়দা।
৩. ১ টেবিল চামচ সুজি।
৪. দেড় টেবিল চামচ রসুন বাটা।
৫. ১ টেবিল চামচ আদা বাটা।
৬. ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৭. ১/২ চা চামচ লবণ।
মশলার পেস্ট তৈরির জন্য লাগবে
১. ২০টি কাজুবাদাম।
২. ২০টি কিশমিশ।
৩. ২ টেবিল চামচ পোস্তদানা।
৪. ২টি জৈত্রী।
৫. ১/২টি জায়ফল।
৬. কালো গোমরিচ ১৫টি।
৭. ১ ইঞ্চি লম্বা দারুচিনি স্টিক।
মাছের ঝোল তৈরির জন্য লাগবে
১. ১/২ কাপ দুইটি মেরিনেশন উদ্ধৃত রস।
২. ৩ টেবিল চামচ মরিচ বাটা।
৩. ৪ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা।
৪. ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা।
৫. ১/২ টেবিল চামচ আদা বাটা।
৬. ৪ টেবিল চামচ টমেটো বাটা।
৭. ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৮. ১ টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়া।
৯. ১/২ চা চামচ গরম মশলা।
১০. ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়া।
১১. ২ ইঞ্চি লম্বা দারুচিনি।
১২. ১টি তেজপাতা।
১৩. ১টি শুকনা মরিচ।
১৪. ৩টি এলাচ।
১৫. ২ চা চামচ চিনি।
১৬. ৫ টেবিল চামচ সরিষা তেল।
১৭. ১ টেবিল চামচ ঘি ও
১৮. স্বাদমতো লবণ।
ভেটকি মাছের বেগম বাহার যেভাবে তৈরি করতে হবে
মেরিনেশনের প্রথম ধাপ
হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মাছগুলো মেরিনেট করে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
মেরিনেশনের দ্বিতীয় ধাপ
ডিম, ময়দা, সুজি, রসুন বাটা, আদা বাটা, মরিচ গুঁড়া ও লবণ একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। প্রথম ধাপের মেরিনেশন শেষে এই মিশ্রণে মাছগুলো ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
মশলার পেস্ট তৈরি
কাজুবাদাম, কিশমিশ, পোস্তদানা, জৈত্রী, জায়ফল, কালো গোমরিচ ও দারুচিনি স্টিক একসাথে কুসুম গরম পানিতে ৩০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। -পানি থেকে তুলে ব্লেন্ড করে মশলার পেস্ট তৈরি করতে হবে।
বেগম বাহার যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. কড়াইতে তেল গরম করে এতে মেরিনেটেড মাছগুলোর উভয় পাশ সোনালি করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
২. তেলে অর্ধেক পরিমাণ ঘি দিয়ে গরম করে দারুচিনি, তেজপাতা, শুকনা মরিচ ও এলাচ দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
৩. এরপরে দিতে হবে পেঁয়াজ বাটা। পেঁয়াজ বাটা হালকা বাদামী আকার ধারণ করলে রসুন বাটা, আদা বাটা ও টমেটো পেস্ট দিয়ে হালকা আঁচে কষাতে হবে।
৪. গন্ধ ছাড়লে এতে বাকি ঘিটুকু দিয়ে দিতে হবে। ঘি দেওয়ার পর মেরিনেশনের রসটুকু দিয়ে দিতে হবে।
৫. এতে চিনি, লবণ, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। মশলাতে দুই কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ফুটাতে হবে। মশলার পানি ফুটে উঠলে এতে মাছগুলো দিয়ে গরম মশলা দিয়ে দিতে হবে।
৬. উচ্চতাপে ২-৩ মিনিট রান্না করে ঝোল টেনে আসলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। তবে চুলায় বেশিক্ষণ রাখা যাবে না। এতে মাছ নরম হয়ে যাবে।
স্বাদ দেখে ঝাল-লবন ঠিক থাকলে নামিয়ে মরিচের ফালি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: রকমারি মাছের কারি: সর্ষে রুই
আরও পড়ুন: বৈশাখের পাতে নোনা ইলিশের ভর্তা