ডিপ ফ্রিজে জমাট বাধার জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন, এছাড়া হাতে মাত্র দশ মিনিট সময় নিয়েই তৈরি করা যাবে ভীষণ মজাদার কুলফি মালাই। কাঠবাদাম ও পেস্তা বাদামের স্বাদে, ক্রিমি টেক্সচারের এই কুলফি মালাই গরমে এনে দেবে স্বস্তির স্বাদ।
কুলফি মালাই তৈরিতে যা লাগবে
বিজ্ঞাপন
১. ১ কাপ হেভি ক্রিম।
২. ১ কাপ দুধ।
বিজ্ঞাপন
৩. ৩/৪ কাপ কনডেন্সড মিল্ক।
৪. ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়া।
৫. ১/৪ কাপ খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম।
৬. ১/৪ কাপ খোসা ছাড়ানো পেস্তা বাদাম।
৭. এক চিমটি জাফরান।
কুলফি মালাই যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম ও পেস্তা বাদামের সঙ্গে আধা কাপ দুধ নিয়ে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরি করে বড় পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। ছোট ও ভিন্ন একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ গরম দুধে জাফরান মিশিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
২. একই পাত্রে হেভি ক্রিম, বাকি দুধ, কনডেন্সড মিল্ক, এলাচ গুঁড়া ও জাফরান মিশ্রণ নিয়ে মেশাতে হবে। বাড়তি মিষ্টির প্রয়োজন হলে আরও খানিকটা কনডেন্সড মিল্ক যোগ করতে হবে।
৩. আইসক্রিম মোল্ডে দুধের মিশ্রণ ঢেলে ৪-৬ ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
সময় হয়ে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে বাদাম কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে মজাদার কুলফি মালাই।
বর্তমান বিশ্বের সাধারণ কিছু কঠিন অসুস্থতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলাইটাস একটি দীর্ঘকালীন রোগ। রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে চিনি বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বা কার্যকারিতা কমে গেলে এই রোগ হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বর্তমানে পুরো বিশ্বে ৫৩ কোটির বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ বছরে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, কিডনি ফেইলিউর, পা কেটে ফেলার মতো ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস।
আজ ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে হয়। সবচেয়ে বেশি স্বস্তিতে থাকা যায়, যদি আক্রান্ত হওয়ার আগেই ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। গুন্ডারসেন হেলথ সিস্টেমের একটি প্রতিবেদনে এই নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে।
১. সাদা রুটি, আলুর মতো পরিশোধিত শর্করা এবং চিনিযুক্ত খাবার, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে ইনসুলিনের তারতম্য ঘটায়। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় আগে থেকেই চিনিজাতীয় খাবার সীমিত করুন এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন শাকসবজি, ওটমিল এবং পুরো শস্য বেশি পরিমাণে রাখুন।
২. ধূমপান ইনসুলিনের কার্যকারিতা প্রতিহত করতে পারে। এর ফলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হতে পারে। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন।
৩. একবারে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেলে স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে ইনসুলিন এবং শর্করার মাত্রার তারতম্য হতে দেখা যায়।
৪. হাঁটা, নাচ, শরীরচর্চা, সাঁতারের মতো শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে। সীমিত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করা বা একেবারেই না করা ডায়াবেটিস তৈরি হওয়ার কারণ হতে পারে।
৫. যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মিষ্টি পানীয় পান করাও কমিয়ে ফেলতে হবে। মিষ্টি পানীয় ডায়বেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে।
৬. তন্তুজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগের মতো ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকর। তন্তু বা ফাইবারজাতীয় খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পেট সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে, যার ফলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে যায়।
প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতা নিশ্চিত করা।
নবজাতক শিশুর যত্ন অনেক বেশি জরুরি। শিশুর প্রতিপালন যেভাবে হয়, তার উপর তার সমগ্র জীবন নির্ভর করে। ছোট থেকে বড়, সব জিনিস এর সঙ্গে সম্পর্কিত। শিশুর জন্ম থেকে ৫ বছর বয়স অবধি নানারকম বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই বাড়ন্ত বয়সে শিশুর শরীরে নানাবিধ পুষ্টি দরকার, যা আসবে বিভিন্ন ধরনের গৃহীত খাদ্য থেকে।
গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের মধ্যে স্বাদজ্ঞান চলে আসে। গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহ পর থেকেই অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের কারণে মায়ের খাওয়া খাবারের স্বাদ শিশুরা পায়। মুখ এবং জিহ্বা তৈরি হতে সেই ক্ষমতা আরও তীব্র হতে থাকে। তাই জন্মের সময় প্রখর স্বাদ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে নবজাতক। সেজন্য প্রথমেই জন্মের পর মিষ্টি স্বাদের অনুভূতি এবং পুষ্টির জন্য শালদুধ খাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
১ বছর বয়স অবধি শিশুর টেস্টবাড গঠিত হতে থাকে। যেমন:
নবজাতক থেকে ৩ মাস: এই পর্যায়ে, আপনার শিশুর স্বাদ অনুভূতি খুবই সংবেদনশীল। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুর স্বাদ অনুভব করার অভিজ্ঞতা এই বয়সে একেবারেই ভিন্ন। শুধু জিহ্বায় নয়, নবজাতক টনসিল সহ মুখের অন্যান্য জায়গায়ও স্বাদগ্রহণ করতে পারে। মিষ্টি এবং তেতো স্বাদের পার্থক্যজ্ঞান এই বয়সেই প্রখর থাকে।
৩ মাস থেকে ৬ মাস: এই বয়সে শিশুর জিহ্বা শরীরের সঙ্গে আকারে কিছুটা বাড়ে। এই বয়সে শিশুদের দেখা যায়, বিভিন্ন জিনিস মুখে দিচ্ছে। কাপড়, খেলনা বা হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দিতে শুরু করে। এটা আসলে একটি ভালো অভ্যাস, এভাবে তারা বুনট ও স্বাদ বোঝার চেষ্টা করে। তবে অবশ্যই শিশুর যেন কোনো ক্ষতি বা অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬ মাস থেকে ১ বছর: ৭-৮ মাস বয়সেই শিশুরা নিজের হাতে খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। শিশুকে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য এইসময়টাই মোক্ষম। ৬ মাস বয়সের পর শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয়। এইসময় শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হয়। প্রথমেই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। কারণ এমনিতেই মায়ের বুকের দুধ কিছুটা মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় নবজাতকের মিষ্টির প্রতি ঝোঁক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শিশুকে টক, তেঁতো, হালকা আঁশজাতীয় সবরকম খাবারই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। যত বেশি ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন শিশুর পুষ্টির ভারসাম্য তত বেশি হবে। চেষ্টা করুন ফল-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবই যতটা সম্ভব তাজা খাওয়ানোর। তবে বেশি তেল মশলা বা ভারি খাবার খাওয়াবেন না। শিশুর হজম ক্ষমতা বেশি পরপক্ক না হওয়ায় অবশ্যই কোনো খাবারে শিশুর সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন। চেষ্টা করবেন প্রতিটা খাবার আলাদা আলাদাভাবে খাওয়াতে, এতে শিশুর কোনো খাবারে এলার্জি আছে কিনা তা যাচাই করা সহজ হয়।
মানুষের মস্তিষ্ক অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং জটিলভাবে সজ্জিত। তবে মস্তিষ্কের থেকেও জটিল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের মন এত বেশি জটিল হয় যে, অনেক সময় বাহ্যিক ভাবে বোঝা তো দূরে থাক, অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া রোগ থাকার লক্ষণও ধরা যায় না।
মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর তার স্বাস্থ্যের অনেক কিছুই নির্ভর করে, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের। ব্যক্তিবিশেষ নানা ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। আমাদের ব্যক্তিত্বের পার্থক্যের কারণেই একজন মানুষের থেকে অন্যজন এত বেশি আলাদা। অনেকে তো নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নিজেই অবগত থাকেনা। তবে খুব সহজে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন আসলে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?
‘অপটিক্যাল ইলিউশন পার্সোনালিটি টেস্ট’ নামক পদ্ধতি খুব প্রাথমিক ভাবে আপনার ব্যক্তিত্বের একটি ধারণা দিতে পারে। এই পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় স্থির ছবি, যার মধ্যে এক বা একাধিক উপাদান প্রতীকীরূপে থাকে। মনোবিজ্ঞান-ভিত্তিক এই পরীক্ষা মানুষের চোখে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ধরা পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যক্তিত্ব ধারণা করা হয়।
‘দ্য মাইন্ডস জার্নাল’ দ্বারা প্রকাশিত এই ছবিটি তেমন পরীক্ষার জন্য নির্মিত। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ছবির একটি অংশে একটি কালো কাক দাঁড়িয়ে আছে, অন্যদিকে পাথরের সুসজ্জিত বিন্যাস একজন মানুষের মুখের অবয়ব তৈরি করেছে। প্রথমে ছবির কোন অংশটি নজরে পড়ছে তার উপর ভিত্তি করে ব্যকি্তত্ব ধারণা করা হয়।
১. যদি আগে কাক দেখতে পান:
এই ব্যক্তিত্ব পরীক্ষায় যদি প্রথম কাক দেখতে পান তাহলে তা বোঝায় যে আপনি অন্যদের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিচারপ্রবণ বা স্ব-সমালোচকও বটে!তাহলে এর মানে হল যে আপনি জীবনে বেশ স্বজ্ঞাত এবং পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। অন্যদের আপনি খুব বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। আপনি মানুষের আচরণ গভীরভাবে বুঝতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ধারণা সঠিক হয়। আপনি বেশ সন্দেহবাতিক, যা আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২. যদি আগে পাথরের তৈরি মুখ দেখতে পান:
প্রথমে পাথরের সম্মেলনে মুখের অবয়ব দেখে থাকলে এর মানে হলো, আপনি নিজের সমালোচনা বেশি করেন। যদিও এই স্বভাব আপনাকে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। তবে হিতে বিপরীত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়ে যায়। নিজেকে বার বার বিচার করার অভ্যাসের কারণে আপনার নিরাপত্তাহীনতার জায়গাগুলো সহজে ধরা পড়ে এবং শুধরে নেওয়া সহজ হয়। যদিও আপনার সাফলে্য বাঁধাও আসতে পারে এই স্বভাবের কারণে।
উপদেশ: যারা প্রথম ধরনের মানুষ, তারা মানুষ চিনতে তীক্ষ্ণ দৃষি্টসম্পন্ন হলেও অনেক সময় অন্যের কষে্টর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অন্যের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। সবসময় অতিরিক্ত জাজমেন্টাল এবং সন্দেহপ্রবণ আচরণ প্রকাশ না করাই শ্রেয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ধরনের মানুষ প্রায়ই নিজেকে অনেক বেশি চাপ দিয়ে ফেলেন। নিজের প্রতি আরও বেশি কোমল হতে হবে, নয়তো জীবনে উন্নতির পথে বাঁধা আসবে।
সুষম খাদ্যের ৬ টি উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে খাদ্যউপাদান নিয়ে ভীতি কাজ করে সেটি হলো স্নেহ বা চর্বি। এর পেছনে রয়েছে বেশ প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা। তা হলো- চর্বি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। শরীরের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে চর্বিও প্রয়োজন। শুধু পুষ্টি্ই যথেষ্ট নয়। অনেক ভিটামিন ও উপকারী উপাদান চর্বিতে দ্রবণীয়। সেসব উপাদানের কার্যকারিতার জন্য চর্বিও প্রয়োজন।
বিজ্ঞান ঘাটলে জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের চর্বি আসলে শরীরের বিভিন্ন ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। উপকারী সে্নহজাতীয় খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়া হলে তা হৃদপিন্ড, মস্তিষ্ক এবং কোষের মেমব্রেনের কাজকে তরান্বিত করে। স্নেহ বা চর্বি আমাদের শরীরকে চালানোর মতো শক্তি ও তাপ উৎপন্ন করে। এছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে- শোষণ করতে এবং ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই সঠিক পরিমাণে সঠিক চর্বি গ্রহণ করা না হলে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে।
তবে সঠিক চর্বি কোনগুলো তা কিভাবে বুঝবেন? চর্বি মূলত ভালো চর্বি আর খারাপ চর্বি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ভাল এবং খারাপ চর্বির মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি। ভাল চর্বি বা অসম্পৃক্ত চর্বিতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই ফ্যাটগুলো খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে পারে। এছাড়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করতে পারে। ভালো চর্বি অলিভ অয়েল, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছে পাওয়া যায়।
অন্যদিকে খারাপ চর্বি হল ট্রান্স ফ্যাট এবং উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়। উচ্চতর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মাখন, লাল মাংস, পনিরজাতীয় খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে বিধায় এসব খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
যদিও সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমানভাবে ক্ষতিকারক নয়। ইউএসডিএ-র পরামর্শ অনুসারে, প্রতিদিনের খাবারে গৃহীত ক্যালোরির শতকরা ১০ ভাগের কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলে তা ঝুঁকিমুক্ত।