২০১৯’র ঈদের বাজার

শাড়ির ক্যানভাসে উঠে আসুক গল্প!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
এক একটা শাড়িই হয়ে ওঠে এক একটি গল্প, ছবি কৃতজ্ঞতা: পটের বিবি

এক একটা শাড়িই হয়ে ওঠে এক একটি গল্প, ছবি কৃতজ্ঞতা: পটের বিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে পছন্দমতো একটা শাড়ি না হলে হয় নাকি!

ঈদ আনন্দের অনেকটাই নির্ভর করে শখের শাড়িটির উপর। প্রিয় শাড়িটি গায়ে জড়ালেই যেন ঈদের রঙ ছড়িয়ে পড়ে মনে। তাই শাড়িটিও হওয়া চায় একটু বিশেষ, ভিন্ন ও ব্যতিক্রম।

সময়ের হাত ধরে শাড়ির নকশায় এসেছে পরিবর্তন। এখন একটি শাড়ি শুধুই বারো হাতের আঁচল ও পাড়যুক্ত কাপড় নয়। এক একটি শাড়িতেই উঠে আসছে গল্প, পুরনো দিনের স্মৃতি। ফুটে উঠছে নান্দনিক ফুল, প্রজাপতি। বলতে গেলে শাড়িই যেন বর্তমান সময়ে ক্যানভাসের এক ভিন্ন মাত্রা।

নকশা, ধারণা, রঙ ও তন্তুতে আধুনিকতার সাথে যুক্ত হয়েছে বৈচিত্র্যতা। জাঁকজমক ও চাকচিক্যপূর্ণ শাড়ির বদলে, বর্তমান সময়ের ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে ছিমছাম কিন্তু আবহপূর্ণ শাড়ির প্রতি। এবারের ঈদ আয়োজনে তেমন ঘরানার শাড়ির আনাগোনাই দেখা গিয়েছে গুটিপোকা, পটের বিবি ও কালার ক্রেজ এর সংগ্রহে।

পটের বিবি

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613832781.jpg

ছেলেবেলার বিশুদ্ধ আবেগের অন্য নাম মাসুদ রানা। কত স্মৃতি ও ভালোলাগা এই মাসুদ রানাকে ঘিরে। এদিকে রঙিন প্রজাপতির প্রতি মোহ যেন কাটতেই চায় না। ইচ্ছে হয় প্রজাপতিটাকে নিজের কাছে রেখে দিতে। আবেগের মাসুদ রানা কিংবা ভালোবাসার প্রজাপতি- যেটাই হোক না কেন, নান্দনিকতার পরিচয় দিয়ে তা শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছে পটের বিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613859226.jpg

অনলাইন বাজারে ইতোমধ্যে সুপরিচিত হয়ে ওঠা পটের বিবি শুরু থেকেই ব্যতিক্রমী নকশা ও আয়োজনের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছে। পাঁচ বছর পা দেওয়া এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ফোয়ারা ফেরদৌস জানালেন, ঈদ উপলক্ষে মূলত পাঁচটি ভিন্ন থিমের নকশা নিয়ে এসেছে পটের বিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613885759.jpg

মৌমাছি, প্রজাপতি, মাসুদ রানা, আতা ও আরামদায়ক রঙের চেক শাড়ি। আবহাওয়া ও ক্রেতার আরামের বিষয়টিতে প্রাধান্য দিয়ে সুতি তন্তু ও সাদা রঙটির উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে এবারের ঈদ সংগ্রহে। অভিনব এই শাড়িগুলোর মূল্য পড়বে ১৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ পর্যন্ত।

কালার ক্রেজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613904475.jpg

ঈদে পার্টি থিমকে মাথায় রেখে শাড়ির সংগ্রহ এনেছে কালার ক্রেজ। এক একটা শাড়ির মাঝেই যেন উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে সেই প্রচেষ্টা থেকেই নজরকাড়া নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুরো শাড়িতে। গরম আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই তন্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হাফসিল্ক, এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মারুফা আক্তার স্বর্ণা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613927098.jpg

হাফসিল্কের উপরে স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ ছাড়াও রয়েছে অ্যাপ্লিক, প্যাচওয়ার্ক, টাইডাই ও শিবুড়ি। নকশা ভেদে যে তন্তুতে যে কাজটি ভালোভাবে ফুটে ওঠে, সে কাজটিই বেছে নেওয়া হয় শাড়ির জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613945719.jpg

বার্তা২৪ কে স্বর্ণা জানালেন, দেশীয় পোশাকের উপরে ক্রেতাদের আগ্রহ প্রশংসনীয়। বিশেষত দেশীয় শাড়িতে গর্জিয়াস নকশা সহজেই ক্রেতদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে কালার ক্রেজের শাড়ির মূল নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ১৭০০ থেকে ২৬০০ টাকার মাঝে পাওয়া যাবে চমৎকার শাড়িগুলো।

গুটিপোকা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558614214489.jpg

হাতে আঁকা শাড়ি ও পোশাকের খোঁজ চাইলে ঘুরে আসতে হবে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুটিপোকার ঈদ কালেকশন। বরাবরই রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় শাড়ি কিংবা পোশাকের পটে প্রাণের ছোঁয়া তুলে আনতে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আফসানা সুমী জানালেন, এবারে ঈদ সম্ভারে মসলিন, জয়শ্রী সিল্ক, হাফসিল্ক ও সুতি তন্তুর উপরে কাজ করা হয়েছে। রঙ হিসেবে আরামদায়ক ও হালকা ঘরানার রঙগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে শাড়িতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558614173348.jpg

শাড়িতে তুলির আঁচড়ে দোলনচাঁপা, মধুমঞ্জুরি, ক্যামেলিয়া, বুনো গোলাপের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফুল কৃষ্ণচূড়া, জারুলও থাকছে। সেই সাথে বর্ষার ধারণাকে মাথায় রেখে ময়ূরকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে। ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুমী বলেন, ‘প্রতিটি নকশায় প্রচুর সাড়া পেয়েছি আমরা। ময়ূর সবসময় জনপ্রিয়। তবে ঋতুভিত্তিক ফুলেল নকশার চাহিদাও ভালো।’ শাড়ির তন্তু ও নকশা ভেদে গুটিপোকার শাড়ি মূল্য পড়বে সর্বনিম্ন ৩৫০০ থেকে ১৩৫০০ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: চলছে কাবলি, ফরমালেও রয়েছে আকর্ষণ

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;