ধূমপানে অন্ধত্ব!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ধূমপানের ফলে ঝুঁকিতে পরে চোখের স্বাস্থ্য, ছবি: সংগৃহীত

ধূমপানের ফলে ঝুঁকিতে পরে চোখের স্বাস্থ্য, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল প্রচলিত ‘ধূমপানে বিষপান’ ট্যাগলাইনটি সবার জানা।

এই বদঅভ্যাসের দরুন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস, হুমকির মুখে পরে শারীরিক সুস্থতা। এমন ভয়াবহ তথ্য জেনেও ধূমপান থেকে বিরত থাকেন না ধূমপায়ীরা।

এবারে ধূমপান বিষয়ে আরও ভয়ানক তথ্য জানালো মার্কিন যুক্তরাজ্যের অ্যাসোসিয়েশন অব অপটোমেট্রিস্টস (AOP). ধূমপান থেকে শুধু ফুসফুসের সমস্যা নয়, দেখা দিতে পারে অন্ধত্বও।

গবেষকেরা জানাচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি হারানোর ক্ষেত্রে অধূমপায়ীদের চাইতে দ্বিগুণ ঝুঁকিতে থাকে ধূমপায়ীরা। কারণ তামাকের ধোঁয়া চোখের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ধূমপান কীভাবে চোখের ক্ষতি করে?

ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত। ফলে চোখের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টিতে অনেকের মাথাতেই প্রশ্ন দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন, সিগারেটের উপস্থিত টক্সিক উপাদান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। এই উপাদানগুলো চোখে অস্বস্তি তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সিগারেটে থাকে ভারি ধাতু তথা লিড ও কপার। যা সরাসরি চোখের লেন্সকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দৃষ্টিশক্তিকে ঘোলাটে করে দেয়।

এছাড়া ধূমপানের ফলে ডায়বেটিস সম্পর্তিক দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি হয়। যার ফলে চোখের পেছনের অংশের (রেটিনা) রক্তনালীকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও বড় কথা হচ্ছে, ধূমপায়ীদের বয়সজনিত চোখের সমস্যা (ম্যাকুলার ডিজেনারেশন) অধূমপায়ীদের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত দেখা দেয়। এই সমস্যার ফলে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বাধাগ্রস্ত হয় এবং কোন জিনিস সঠিকভাবে দেখতে সমস্যা হয়।

এখানেই শেষ নয়। হুট করে দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো সমস্যায় অধূমপায়ীদের চাইতে ১৬ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকে ধূমপায়ীরা। অপটিক নিউরোপ্যাথি থেকে আকস্মিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়, যেখানে চোখে রক্ত প্রবাহ হুট করেই বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: শনাক্ত হবে পারকিনসন্স রোগের পূর্ব লক্ষণ!

আরও পড়ুন: প্রযুক্তি যেভাবে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে!

   

যেসব খাবার গরম করে খাবেন না



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

খাবার গরম করে খাওয়া যাবেনা

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবার জীবনযাত্রায় ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আমরা যে খাবারই খাই না কেন, শরীর এবং মস্তিষ্কে তার স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পরে। তাই স্বাস্থ্যে খাদ্যাভাসের বিশেষ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই প্রতিদিনের খাবারের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়।

বিশ্বব্যাপী খাবার গরম করে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া খাবার গরম করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে বেঁচে যাওয়া বাসি খাবার কখনোই গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ সব খাবার গরম করলে ভালো থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ক্লিনিকাল ডায়েটেশিয়ান গরিমা গয়াল এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন এমন কিছু খাবারের নাম যা কখনোই গরম করে খাওয়া যাবে না।

ভাত: চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। সাধারণ তাপমাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়া ভাতকে অনেক্ষণ ভালো থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু ভাত বার বার গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের টক্সিন ভাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

চা: বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চা তে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়াও চায়ের স্বাদও অনন্য। স্বাস্থ্য ও রুচিভেদে মানুষ বিভিন্ন রকমের চা সেবন করে থাকে। এতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। চা যখন বানানো হয় তখন এতে ট্যানিন এবং ক্যাটেচিনের মতো কিছু যৌগ নির্গত হয়। চা আবার গরম করা হলে এতে থাকা ক্যাফিন ঘনীভূত হয়ে। এতে চায়ের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে পিএইচও পরিবর্তন হয়। স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে হানি সৃষ্টি করতে পারে।

মাশরুম গরম করে খাবেন না

মাশরুম: মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটা খাবার হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত আর্দ্রও হয়। এই কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাশরুমে পলিস্যাকারাইড থাকার কারণে বার বার গরম করায় প্রোটিনগুলো পরিবর্তন হয়ে বিকৃত কাঠামো ধারণ করে।

পালং শাক: পালং শাক অত্যন্ত উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন রয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং সি। রান্না করা পালং শাক বার বার গরম করলে তাপের কারণে এইসব ভিটামিনের গঠন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় ভিটামিনের পুষ্টিমানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও শাকে নাইট্রেট থাকে। পুনরায় গরম করা হলে তা নাইট্রাইটে পরিণত হয় । এছাড়াও পালং-এ থাকা উদ্ভিদ ভিত্তিক আয়রন প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

তেল: রান্নার সময় যখন তেল প্রথমবার ব্যবহার করা হয় তখন তা কড়াইতে ঢেলে কিছুটা গরম করে নেওয়া হয়। একবার গরম করে ঠান্ডা হওয়া তেল আবার গরম করে রান্না করলে সেটা রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। বারবার গরম-ঠান্ডা চক্র অতিবাহিত করা তেলের মধে্‌য ট্রান্স ফ্যাট এবং অ্যালডিহাইড ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়। এতে খাবারের স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, তার সাথে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস                   

;

ঈদে ভিন্নধর্মী নবাবী নাটি সেমাই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নবাবী নাটি সেমাই

নবাবী নাটি সেমাই

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ। পবিত্র রমজান মাস শেষে স্বস্তির নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপনে মেতে ওঠে সবাই। ভালো-মন্দ খাবার ছাড়া ঈদ যেন অসম্পূর্ণ, আর মিষ্টি ছাড়া তো কল্পনাও করা যায়না। ঈদে মিষ্টি মুখ মানেই সেমাই। প্রতিবার সেই একই দুধে ভেজা সেমাই না করে এবার ঈদে হোক ভিন্ন কিছু। জেনে নিই, কিভাবে রাধবেন নবাবী নাটি সেমাই:
সেমাই রান্না করতে আমাদের লাগবে-
১. লাচ্ছা সেমাই, ২. লিকুইড খাঁটি গরুর দুধ (জ্বাল করে ঠান্ডা করা), ৩. ঘি, ৪. কাজুবাদাম, ৫. পেস্তা বাদাম, ৬. কাঠবাদাম, ৭. গুড়া দুধ, ৮. চিনি, ৯. কর্ন ফ্লাওয়ার, ১০. টিন ক্রিম, ১১. কাস্টার্ড পাউডার, ১২. কনডেন্স মিল্ক, ১৩. কিসমিস।

পদ্ধতি: 
১. প্রথমে একটি বড় ফ্রায়িংপ্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি নেই। তাতে কুচি করে রাখা ১/৪ কাপ কাজুবাদাম, ১/২ কাপ কাঠবাদাম এবং ১/৪ কাপ পেস্তা বাদাম কুচি ঢেলে দেই। হাল্কা রঙ করে ভেজে নেই। বাদামগুলো তুলে নেই। একই প্যানে ৩ টেবিল চামচ মাখন বা ঘি দিয়ে দিন। (তেল ব্যবহার করা যাবে না)।
২. গরম ঘি-তে ৪০০ গ্রাাম লাচ্ছা সেমাই এবং ৪ টেবিল গুড়া দুধ নিব। এর সাথে ১/২ কাপের বেশি চিনি দিন। সবকিছু একত্রে ভেজে নিব। চিনি গলে মিশে যাওয়া অবধি মিশিয়ে নেই। ভালোভাবে মিশিয়ে নেই।
৩. সার্ভিং প্লেট বা বোলে ২/৩ তৃতীয়াংশ ভাজা সেমাই তুলে রাখি। সমান ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে লেয়ারের মতো তৈরি করে বিছিয়ে নেই। বাকি ভাজা সেমাইগুলো সরিয়ে রাখি।
৪. ফিলিং তৈরি করতে, প্রথমে ১ লিটার জ্বাল করে ঠান্ডা করে নেওয়া ল্কিুইড দুধ নেই। তাতে ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার দেই। ১টি টিন-ক্রিমের ২/৩ অংশ দিন। তার সাথে ২ টেবিল কাস্টার্ড পাউডার, ৪ টেবিল চামচ গুড়া দুধ এবং ১/২ কাপ কনডেন্স মিল্ক (স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে/কমিয়ে নিন) নিয়ে নিন।
৫. সব ভালোভাবে মিশিয়ে চুলা ধরিয়ে জ্বাল করে নিন। অল্প আঁচে রান্না করতে থাকুন। এভাবে জ্বাল করে নাড়তে নাড়তে ঠান্ডা করে নিন। সার্ভিং বোলে বিছিয়ে রাখা সেমাইয়ের উপর গরম অবস্থাতেই পুরো মিশ্রন ঢেলে দিন।
৬. দুধের মিশ্রনের উপর বাকি রেখে দেওয়া সেমাইগুলোও দিয়ে দেই। এর উপর কাজু, কাঠ এবং পেস্তা বাদাম কুচি দিয়ে দিই। সাথে আস্ত কিসমিসও দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করি।

;

ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

ঈদের সাজ-পোশাক যেমন হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে ঈদের মৌসুম। ঈদ উপলক্ষ্যে সকলেই বিভিন্ন নতুন পোশাকে সেজে ওঠে। ঈদের দিন পোশাক হতে হবে সুন্দর এবং আরামদায়ক। ঈদের পোশাকের বেলায় ফ্যাশনের দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়।

সাধারণত ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি একই পোশাক পরে থাকতে হয়। তাই পোশাক সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি হতে হবে আরামদায়ক। জেনে নিই, ঈদের পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলেরা মাথায় রাখতে হবে-

ঈদে ঐতিহ্যবাহী পোশাক

১. ঐতিহ্য: ঈদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হলো ঐতিহ্যবাহী পোশাক। ইসলাম ধের্মে পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশ জোড়ালো ভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যারা বোরখা পড়েন না, তারাও এতিহ্ডবাহী শালীন পোশাক পরে পবিত্র ঈদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারেন। জাঁকজমক শাড়ি বা কারুকাজ খচিত সালোয়ার কামিজ ঈদে উৎসবের ছোঁয়া এনে দেয়। তবে কাপড় অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে। সেইজন্য মখমল, সিল্ক বা সিফনের মতো সমৃণ কাপড় বাছাই করুন।

২. রঙ: পোশাকের রঙে অনেক ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠানের আমেজ ফুটে ওঠে। উজ্জ্বল রঙ উৎসবের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলে। তাই ঈদের মতো আনন্দ উৎসবে সাদামাটা নয়, বরং উজ্জ্বল রঙ বেছে নিন। যেমন: লাল, বা মেটালিক রঙ (যেমন:সোনালী,রুপালি), মেরুন, হলুদ, কমলা, নীল, সবুজ ইত্যাদি।

ঈদের পোশাক

৩. কারুকার্য: পোশাকে কারুকাজ পুরো লুকই পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। সিম্পল কাপড়ের উপর গ্ল্যামারাস সূক্ষ্ণ কাজও উৎসবের আভা ফুটিয়ে তোলে। এজন্য সিকুইন্সের কাজ, অ্যাম্ব্রোডারি, সুই-সুতা ও স্টোনের কাজের পোশাক বাছাই করে নিন।

৪. অস্বস্তি: অনেক সুন্দর পোশাক পরেও যদি আপনি স্বস্তিবোধ না করেন তা ঈদের লুক নষ্ট করতে যথেষ্ট। যেহেতু দীর্ঘসময় একই পোশাকে থাকতে হবে তাই পোশাকের ক্ষেত্রে আরাম অনুভব করার ব্যাপারে আপোষ করা উচিত নয়।

ঈদের সাজ 

৫. সাজগোজ: নারীদের ক্ষেত্রে সাজগোজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঈদের দিন পোশাকের সাথে সাজগোজ অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। জমকালো পোশাকের সাথে হালকা সাজলে ভালো মানায়। গহনা এবং হ্যান্ডব্যাগে কিছুটা নিজস্বতার ছোঁয়া রাখুন। বাইরে ঘুরতে বের হলে বেশি উচ্চতাসম্পন্ন হির ব্যবহার না করাই ভালো।    

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

                       

 

;

শরীরের পরিশ্রমের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শারীরিক ব্যায়ামে মস্তিষ্কে প্রভাব / ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক ব্যায়ামে মস্তিষ্কে প্রভাব / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্তিষ্ক সমগ্র শরীরকে পরিচালনা করার মূল যন্ত্র। মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশ আসার ফলেই শরীরের পৃথক অংশগুলো নড়াচড়া করে। ছোট থেকে ছোট শারীরবৃত্তীয় কাজও মস্তিষ্কই পরিচালনা করে। তাই শরীরের সাথে ব্রেনের মজবুত সংযোগ রয়েছে।

এই সংযোগ কেবল একপাক্ষিক নয়। শারীরিক ব্যায়ামের কারণেও মস্তিষ্ক প্রভাবিত হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যেও তার প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন কায়িক পরিশ্রম করার ফলে মস্তিষ্ক থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণকে প্রভাবিত করে।

মেজাজের তারতম্য, আত্মসম্মানবোধ, ঘুম- ইত্যাদি কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কযুক্ত হরমোনগুলো ব্যায়ামের ফলে বেশি নির্গত হয়।

জিমে গিয়ে ব্যয়াম করা ছাড়াও; অবসর সময়ে হাঁটাহাঁটি করা, বিকেলে খেলাধুলা করা, এলিভেটরের বদলে সিঁড়ি চড়া, অফিস থেকে ফেরার সময় হেঁটে বা সাইকেলে ফেরা- ইত্যাদি মাধ্যমে প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যয়াম করা যায়। এতে একদিকে যেমন শরীরে শক্তিমাত্রাও বাড়বে, আবার কাজে ফোকাস করাও সহজ হবে।    

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে তা মানসিক যেসব ব্যাপারে প্রভাব ফেলে-

১. মানসিক বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা দূর করতে পারে ব্যায়াম। যেমন- হতাশা, উদ্বেগ, হীনমন্যতা।  

২. কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ব্যায়াম শারীরিক অক্ষমতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। শরীরের বিভিন্ন জড়তা দূর হয় ব্যায়ামের কারণে।

৩. স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, কাজে মনোযোগ বাড়ে এবং ধৈর্য্য ধরার ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়।   

৪. ব্যায়ামের কারণে ঘুম ভালো হয়। শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমও ভালোভাবে সংঘটিত হয়।   

৫. প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক গাঢ় হয়। সবুজ পরিবেশ এবং তাজা হাওয়ার খোলা পরিবেশের কারণে মানসিক বিশ্রাম এবং শান্তিলাভ হয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;