হৃদরোগের ঝুঁকি কমে দারুচিনি গ্রহণে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝাল ও মিষ্টি উভয় ধরনের খাবার তৈরিতেই দারুচিনি বাড়তি স্বাদ ও গন্ধ যোগ করে।

আমাদের রান্নায় দারুচিনি ব্যবহারের মূল কারণ হলো ফ্লেভার, তবে আরও একটি বিশেষ কারণে নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসে দারুচিনি রাখা প্রয়োজন। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ দারুচিনি গ্রহণে আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে। সেই সাথে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়বেটিসের সমস্যাটিও।

মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া এই উপাদানটিতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল শরীরে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকেও রক্ষা করতে কার্যকরি। গবেষণা জানাচ্ছে, দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণ বেশ কয়েকদিক থেকেই সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। তেমন কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে রাখুন।

প্রদাহ কমায় দারুচিনি

বেশ কিছু গবেষণা জানাচ্ছে, দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ বিরোধী তথা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। পেশীর ব্যথাভাব, ফোলাভাব, শরীরের কোন অংশে হুটহাট ব্যথা দেখা দেওয়ার মতো সমস্যাগুলো কমাতে কাজ করে দারুচিনি।

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দারুচিনি

রক্তে চিনি ও ইনস্যুলিনের মাত্রার হেরফেরের উপরেই নির্ভর করে মেটাবোলিজমের মাত্রা ও টাইপ-২ ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা। বেশ কিছু পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে দারুচিনি গুঁড়া গ্রহণে ডায়বেটিস রোগীদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। দারুচিনি শুধু রক্তে চিনির মাত্রাই নয়, ইন্স্যুলিন সেনসিটিভিটিকেও নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563531546124.jpg

হৃদরোগ দূরে রাখে দারুচিনি

প্রতিদিন ১২০ মিলিগ্রাম পরিমাণ দারুচিনি গ্রহণে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL), ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভিন্ন একটি গবেষণার ফলাফল বলছে- যারা নিত্যদিনের খাবারে হলুদ ও দারুচিনি গুঁড়া রাখে, তাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা পূর্বের চাইতে কমে যায়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও কমে যায় তুলনামূলক অনেক বেশি।

ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে

সিনামন এক্সট্র্যাক্ট তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা প্রায় সকল ধরনের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। দারুচিনিতে থাকা সিনাম্যালডিহাইড (Cinnamaldehyde) হলো প্রধান উপাদান, যা ইনফেকশন দ্রুত সারাতে কাজ করে। বিশেষত ইষ্ট ইনফেকশনের বিরুদ্ধে দারুচিনির তেল সবচেয়ে উপকারী।

মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

এক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিতে হবে দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাবকে, যা মুখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে দারুচিনি দাঁতের ক্ষয়রোগ ও মুখে বাজে গন্ধ হওয়া প্রতিরোধে কাজ করে।

আরও পড়ুন: গরম আবহাওয়ায়, সুস্থতায় ডাবের পানি

আরও পড়ুন: ঘুম আনতে সাহায্য করবে এই খাবারগুলো

   

গরমে যে ৫ সবজি শরীর ঠান্ডা রাখে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে হবে সবজি। যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে শরীর যেন ঠান্ডা থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই ডাবের জল, লেবু কিংবা পুদিনার শরবত খাচ্ছেন। শরীরের ভেতরে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে বলে ঘন ঘন আইসক্রিমও খাচ্ছেন।

তবে কী খেলে এই গরমে শরীরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে জেনে নিন। 

শসা

এই গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এই ফল। শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয়, শসা তা শোষণ করে নিতে পারে। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা উপকারী।

লাউ

গরমে লাউ খেতে পারেন। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। এই সময়ে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। লাউ কিন্তু সেই ঘাটতি পূরণ করবে। তা ছাড়া, পেটের সমস্যা যাদের রয়েছে, লাউ তাদের জন্য বেশ উপকারী।

ঝিঙে

রুই মাছ দিয়ে ঝিঙের ঝোল বাঙালির আলাদা একটা প্রেম আছে। এই সবজি রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়, তাতেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল আছে। গ্রীষ্মকালীন নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায় ঝিঙে।

বিট

বিট শীতকালীন সবজি। তবে সারা বছরই বাজারে চোখে পড়ে বিট। ‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল কমায়। শরীরের ভেতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। বিট খেলে হজমের সমস্যাও কমে।

লেটুস

বাজারে গিয়ে লেটুস দেখতে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনে নিন। গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই উপকারী। লেটুস পাতায় জলের ভাগ বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এই পাতা। এ ছাড়া, শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যাও কমায় এই পাতা। লেটুসের গুণে গরমেও চাঙ্গা থাকা যায়।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

;

গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করে নিজের যে ক্ষতি করছেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকেই বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের দরজা খুলে হাতে তুলে নেন ঠান্ডা পানির বোতল। তারপর ঢকঢক করে গলাধঃকরণ করেন। তারপর তার মনে হয়, আহ শান্তি। তবে এই শান্তির সঙ্গে সঙ্গে আপনি কিন্তু কিছু ঝুঁকিকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

পুষ্টিবিদের মতে, হিমশীতল পানি শরীরের বহু ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিপানের অভ্যাস হজমে বিঘ্ন ঘটায়। এর থেকে পেট ব্যথা হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গলার রক্তনালিকাও। পরবর্তীতে যার থেকে দেখা দিতে পারে জটিল সংক্রমণ।

টনসিল–ঠান্ডা–কাশি–জ্বর

গরমের মধ্যে বাইরে থেকে ফিরেই সরাসরি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি খেলে গলা খুসখুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা পর্যন্ত অনেক আশঙ্কাই আছে। শরীরের তাপমাত্রা সাধারণভাবে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের কিছু অংশের তাপমাত্রা হুট করে কমে যায়। বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে শরীর।

ফলে নিয়মিত এ রকম ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে মিউকাস বা শ্লেষ্মা বেড়ে টনসিলের সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা, দাঁতে ব্যথা, খাদ্যনালির সমস্যা, সর্দি, কাশি বা জ্বরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তৈরি হওয়া মিউকাস বা শ্লেষ্মা শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি করে। তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের গলায় শ্বাসনালির ওপরের অংশে কিছু ‘সুবিধাবাদী জীবাণু’ বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম, তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। ঠান্ডা পানিতে এই জীবাণুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

হৃৎস্পন্দন ‘ড্রপ’ করতে পারে

ঠান্ডা পানি সাময়িক সময়ের জন্য স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনে বাধা দেয়। দশম ক্র্যানিয়াল নার্ভ বা ভেগাস নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। ফলে হৃৎস্পন্দনের পতন ঘটে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। যাঁদের সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাদের ঠান্ডা পানি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

হজমে বাধা

হজমের সময় যে পুষ্টি শোষিত হয়, সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেয় ঠান্ডা পানি। শরীর তখন হজমপ্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরে বেশি পানিশূন্যতা দেখা যায়।

চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে যাওয়া

শরীরের চর্বিজাতীয় পদার্থ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এসে জমে যায়। ফলে সেগুলো শোষণ করা বা পুড়িয়ে ফেলা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এমনিতেই চর্বিজাতীয় পদার্থ হজম করতে শরীরে সবচেয়ে বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। তাই কিছু ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে শরীর তো ঠান্ডা হবেই না, আরও গরম হবে। আর ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

দাঁতের শিরশিরানি

ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেল অংশটাকে দুর্বল করে তোলে। তখন দাঁতে যেকোনো সংক্রমণের সুযোগ তৈরি হয়। আর ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে দাঁতে শিরশিরেভাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

 

তথ্যসূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

অত্যধিক গরমে শুধু শরীর নয়, ফোনও খারাপ হয়ে যেতে পারে! সুরক্ষায় যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। গ্রীষ্মকাল যাদের পছন্দের ঋতু নয়, এই গরমে তাদের অনেকেরই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। অত্যধিক গরমে শুধু মন নয়, খারাপ হতে পারে ফোনও। তাই গরমে ফোনের যত্ন নিতেও ভুলবেন না। গরমে অল্প ব্যবহার করলেই ফোন গরম হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ ফোন গরম হয়ে গেলে, কিভাবে সামাল দেবেন জেনে নিন এর সমাধান- 

১) বাইরে বের হলে ফোন হাতে নয়, ব্যাগের মধ্যে রাখুন। সূর্যের আলোয় ফোন অত্যধিক গরম হয়ে যায়। এখন রোদের যা তেজ, তা ফোন গরম হতে বেশিক্ষণ সময় নেবে না। এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

২) ফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। ফোনে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে খুলে রাখবেন না। এতে ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। ফোন ক্রমশ গরম হতে থাকে। তাই যখন যে অ্যাপ প্রয়োজন, সেটাই খুলে রাখুন। বাকিগুলো বন্ধ করে দিন।

৩) একটানা বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘক্ষণ ফোন ঘাঁটলে গরম হয়ে যায়। ব্যাটারির উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে অল্প দিনেই ব্যাটারি খারাপ হয়ে যেতে পারে।

৪) ফোন গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার একটি উপায় হল কুলিং ফ্যান। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। শুধু ফোন ঠান্ডা করতেই নানা ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, মধ্যবয়সী-যুবক প্রচন্ড গরমের সকলের নাজেহাল অবস্থা। তার উপর নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও কয়েক ডিগ্রি তাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

সরকারপক্ষ থেকে রাজধানীতে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে শহর ভিজিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্তি দেওয়া বা ছাউনি তৈরি করা৷ এছাড়া গাছ লাগানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে জোরদমে৷ তবুও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা কমছে না। সাধারণ কিছু গরম জনিত সমস্যা ছাড়াও হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ৷

গরমে সাধারণত দুইটা সমস্যার বেশি আধিপত্য দেখা যাচ্ছে৷ হিট এক্সহসশন বা তাপক্লান্তি এবং হিটস্ট্রোক৷ হিটস্ট্রোক খুবই গুরুতর একটি সমস্যা, যা মৃত্যু ঘটাতেও সক্ষম৷ হিট এক্সহসশনকে বলা যায় হিটস্ট্রোকের আগের অবস্থা। তবে অনেকেই এই সমস্যা দু'টোকে একই মনে করেন৷ তবে এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে৷  জেনে নেওয়া যাক সেসব পার্থক্য-

হিট এক্সহসশন বা ক্লান্তি: সাধারণত শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই হয়। গরমের মধ্যে বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হতে থাকে৷ 

তাপমাত্রা এখন দিন দিন আরও বাড়ার কারণে ঘামও তুলনামূলক বেশি হয়৷ এই কারণে শরীর থেকে পানি আর লবণ বের হয়ে যায়৷ ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। একেই হিট এক্সহসশন বলে৷

হিট এক্সহসশনের উপসর্গ হলো হিট ক্র‍্যাম্পস বা পেশিতে ব্যথা হওয়া।

পানিশূন্যতাও এর একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৮.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই হিটএক্সহসশনের সমস্যা দেখা যায়৷

এছাড়া অনেকের বমি হয়৷ বা বমি বমি ভাব হয়৷ হিট এক্সহসশনের সময় হৃদকার্য দুর্বল হয়ে যায়। তবে হার্টবিট দ্রুত হতে থাকে৷

তাপক্লান্তি হলে করণীয়: তাপক্লান্তিতে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে৷ অথবা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে৷ যেন শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়৷

দ্রুত হালকা ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে৷। বা জলদি শক্তি আনার জন্য এনার্জি ড্রিংক (খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহৃত) খাওয়াতে হবে।

রোগীকে ঠান্ডা স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে। তাকে রিলাক্স করতে টান করে শুয়িয়ে রাখতে হবে৷

বমির সমস্যা গুরুতর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বমিরোধী ঔষধ সেবন করাতে হবে।

হিটস্ট্রোক: যখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে৷ সংকুচিত হওয়ার কারণে লোমকূপ ঘাম বের হতে পারেনা৷ এতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হয়৷

সে কারণে তাপ শরীরের ভেতরেই থেকে যায় আর শরীর শীতল হতে না পেরে স্ট্রোক হয়৷

সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে যায়৷ হৃদপিণ্ড খুব দ্রুত এবং শক্তিশালীভাবে কম্পিত হতে থাকে৷

হিটস্ট্রোক হলে মানুষ সাধারণত অজ্ঞান হয়ে যায়৷ অথবা সজ্ঞান হারিয়ে অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। তাদের চোখ, ত্বক পরিবর্তন হয়ে যায়।

ত্বকে লালচে এবং শুষ্ক হয়ে যায়৷ অনেকের ক্ষেত্রে খিচুনি উঠতে দেখা যায়। শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রোগীর প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হতে দেখা যায়৷

হিটস্ট্রোক হলে করণীয়: রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে৷

রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় এবং জুতা খুলে দিতে হবে৷ যেন বাতাসের সংস্পর্শে আসতে পারে।

শরীর এবং মাথায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ঢালতে হবে। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়াতেও হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা পানি খাওয়াবেন না। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ আরও বেগতিক হবে৷

শরীরে ঠান্ডা বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ অতি দ্রুত জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জরুরি প্রয়োজন ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে।

;