যেমন হওয়া প্রয়োজন স্পর্শকাতর ত্বকের যত্ন
ত্বকের সুস্থতায় সঠিক যত্ন নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র কিংবা স্পর্শকাতর- ত্বকের ধরণ যেমনই হোক না কেন, প্রতিদিন নিয়ম মেনে ত্বকের পরিচর্যা করা হলেই পাওয়া যাবে মনের মতো ত্বক।
তবে অন্যান্য সকল ধরনের ত্বকের মাঝে স্পর্শকাতর (Sensitive) ত্বক ও ত্বকের যত্নের বিষয়ে বেশ অনেকখানি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কেননা স্পর্শকাতর ত্বকের ধরণটাই এমন হয় যে, খুব সামান্য অসতর্কতাতেও ত্বকের সমস্যা শুরু হয়।
স্পর্শকাতর ত্বক কী?
স্পর্শকাতর ত্বকে ছোটখাটো কারণে বা অযত্নেই জ্বালাপোড়াভাব, চুলকানির উপদ্রব, সুঁই ফোটার মতো অনুভূতি, লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা দেয়, অ্যালার্জি তৈরিকারী কোন উপাদানের সংস্পর্শে আসলে। সেটা হতে পারে খাদ্যজনিত বা বায়ুবাহিত। এমনকি অবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলেও অনেক সময় স্পর্শকাতর ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়।
স্পর্শকাতর ত্বকের যত্ন কীভাবে নিতে হবে?
অন্যান্য ধরনের ত্বকের বাইরে স্পর্শকাতর ত্বকের যত্নে একটু বেশি সতর্কতা পালন করতে হবে। পাশাপাশি যত্ন নেওয়ার ধরনের আনতে হবে ভিন্নতা। এখানে তেমনি কিছু জরুরী বিষয় তুলে ধরা হলো।
ব্যবহার করতে হবে কুসুম গরম পানি
স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে খুব বেশি ঠাণ্ডা বা গরম পানি ব্যবহার না করেই শ্রেয়। এতে করে যেকোন সময়েই ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন ত্বকের জন্য সবসময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখা
স্পর্শকাতর ত্বকের যত্নে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। ত্বকের আর্দ্রতা যদি ঠিক না থাকে, তবে যেকোন সময়েই ত্বকজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য অ্যালোভেরা, অলিভ অয়েল বিশেষ উপকারী।
খুব বেশি এক্সফলিয়েট না করা
ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য সবসময় নিয়মিত এক্সফলিয়েট করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এক্সফলিয়েট করতে হবে একেবারেই কম। সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। নতুবা এক্সফ্লিয়েটরের উপাদান ত্বকে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
এখানে বলে রাখা ভালো- শুধু স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য নয়, সকল ত্বকের জন্যেই রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। রোদের আলোর ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে যার মাত্রা হতে পারে আরও কিছুটা বেশি।
প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার
যেহেতু খুব সামান্য কারণেও স্পর্শকাতর ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়, তাই যথাসম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই হবে নিরাপদ। কেমিক্যাল, সুগন্ধি ও অ্যাসিডিক উপাদান স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেদিক থেকে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার উপকারী।