প্রিয় আমের চমকপ্রদ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
আম।

আম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও, ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে আমকে।

পাকা আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পাকা আমের মৌসুমের শুরু থেকেই হাড়িভাঙ্গা, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ, খিরসা, মল্লিকা, সুবর্নরেখা সহ নানা জাতের ও স্বাদের আমে বাজার রঙ্গিন হয়ে ওঠে একদম।

এই ফল দারুণ সুমিষ্ট ও সুস্বাদু বলে পুরো মৌসুম জুড়েই খাওয়া হয় সবার। এতো পরিচিত ও প্রিয় ফল অহরহ খাওয়া হলেও তার উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা আছে খুব কম মানুষের।

পাকা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সমূহ:

১. পাকা আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ এবং ফাইবার ও মিনারেলস।

২. এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। যা শরীরের কোষের সাথে তরলের সামঞ্জস্য রক্ষা করে এবং রক্তচাপ ও হার্টরেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩. উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-বি৬ এর সঙ্গে ভিটামিন-ই ও সিও থাকে আমে। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে সাধারণ অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৪. মজার ব্যাপার হলো আমে কিছু পরিমাণে কপার থাকে, যা লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।

আরো জানুন: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ডাবের পানি

৫. শুধু ভিটামিন-সি ও ই নয় পাকা আমে ভিটামিন-এ থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন-এ ত্বককে সুস্থ রাখে এবং অ্যালার্জি ও বলীরেখার হাত থেকে দূরে রাখে।

৬. ফুসফুস ও ওরাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় পাকা আম।

৭. নারীদের স্তন্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে পাকা আম। শুধু নারীদের জন্যই নয়, পুরুষদের প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমিয়ে থাকে আম। ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের ঝুঁকি আম কেন কমায়? কারণ আমে রয়েছে পলিফেনলিক উপাদান (Polyphenolic compound). যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।

৮. স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ পাকা আম বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কারণ আমে রয়েছে ফাইবার, যা খাদ্য দ্রুত পরিপাক করে ক্যালরি বার্ণ করে থাকে।

৯. নিয়মিত আম গ্রহণ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এমনকি রাতকানা রোগও প্রতিরোধ করে পাকা আম।

আরো জানুন: শির রোগ যদি হয়, পানের রসে হবে ক্ষয়!

১০. কিডনির অনাকাঙ্ক্ষিত পাথর হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।

১১. আমে প্রচুর আয়রন থাকার জন্য গর্ভবতী নারীদের জন্য আম বিশেষ উপকারী ফল।

১২. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে পাকা আম।

উপরে উল্লেখিত স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশপাশি আমের আরো অনেক উপকারিতা আছে। তবে প্রতিদিন কতটুকু আম খাওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিৎ। বিশেষত ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত বেশি পরিমাণে আম খাওয়া একেবারেই ঠিক হবে না।

ছবি: আসিফ। 

   

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;

নারী শরীরে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর এর প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি। মানবশরীরের গলায় কণ্ঠমণির ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এই ছোট অঙ্গটি শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন হরমোনের সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে এই অঙ্গ।

বিপাক নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং শারীরিক বৃদ্ধিসহ অনেক অভ্যন্তরীণ শারীরিক কাজে ভূমিকা রাখে থাইরয়েড। এর ফলে এই গ্রন্থি আমাদের হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্র, ওজন এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

থাইরয়েড মূলত দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে। থাইরক্সিন (টি৪) এবং ট্রায়োডো থাইরোনিন (টি৩)। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড এইসব হরমোন উৎপন্ন করে। সেখান থেকেই তা নিঃসৃত হয় এবং সমগ্র শরীরের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের নানাবিধ কাজে থাইরয়েড প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। থাইরয়েডের সক্রিয়তা তাই শরীরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তবে, থাইরয়েডের উৎপাদনকৃত হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হরমোন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।  

অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় (হাইপারথাইরয়েডিজম)। ফলে শরীরের বিপাক দ্রুত হয়। হাইপারথাইরয়েডের কারণে ওজন হ্রাস, হাত কাঁপানো এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সমস্যা দেখা যায়। এইজন্য পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা হলো পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হওয়া। এর কারণে শরীরে ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ধীর হৃদস্পন্দনের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এমনকি হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম উভয় কারণেই স্বাভাবিক মাসিক ব্যাহত হতে পারে। মাসিক ধরনের পরিবর্তন হওয় যেমন কম হওয়ার বা একেবারেই না হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

তাছাড়া, সেক্স হরমোনের সাথেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি মায়ের থেকে থাইরয়েঢের হরমোন জনিত জটিলতার কারণে গর্ভের সন্তানের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। যেমন- গর্ভপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, অকাল জন্ম এবং শিশুর কম বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা।

তাই থাইরয়েডের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত।  

;