প্রিয় আমের চমকপ্রদ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমাদের দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও, ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে আমকে।
পাকা আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পাকা আমের মৌসুমের শুরু থেকেই হাড়িভাঙ্গা, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ, খিরসা, মল্লিকা, সুবর্নরেখা সহ নানা জাতের ও স্বাদের আমে বাজার রঙ্গিন হয়ে ওঠে একদম।
এই ফল দারুণ সুমিষ্ট ও সুস্বাদু বলে পুরো মৌসুম জুড়েই খাওয়া হয় সবার। এতো পরিচিত ও প্রিয় ফল অহরহ খাওয়া হলেও তার উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা আছে খুব কম মানুষের।
পাকা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সমূহ:
১. পাকা আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ এবং ফাইবার ও মিনারেলস।
২. এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। যা শরীরের কোষের সাথে তরলের সামঞ্জস্য রক্ষা করে এবং রক্তচাপ ও হার্টরেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-বি৬ এর সঙ্গে ভিটামিন-ই ও সিও থাকে আমে। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে সাধারণ অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৪. মজার ব্যাপার হলো আমে কিছু পরিমাণে কপার থাকে, যা লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।
আরো জানুন: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ডাবের পানি
৫. শুধু ভিটামিন-সি ও ই নয় পাকা আমে ভিটামিন-এ থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন-এ ত্বককে সুস্থ রাখে এবং অ্যালার্জি ও বলীরেখার হাত থেকে দূরে রাখে।
৬. ফুসফুস ও ওরাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় পাকা আম।
৭. নারীদের স্তন্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে পাকা আম। শুধু নারীদের জন্যই নয়, পুরুষদের প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমিয়ে থাকে আম। ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের ঝুঁকি আম কেন কমায়? কারণ আমে রয়েছে পলিফেনলিক উপাদান (Polyphenolic compound). যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
৮. স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ পাকা আম বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কারণ আমে রয়েছে ফাইবার, যা খাদ্য দ্রুত পরিপাক করে ক্যালরি বার্ণ করে থাকে।
৯. নিয়মিত আম গ্রহণ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এমনকি রাতকানা রোগও প্রতিরোধ করে পাকা আম।
আরো জানুন: শির রোগ যদি হয়, পানের রসে হবে ক্ষয়!
১০. কিডনির অনাকাঙ্ক্ষিত পাথর হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১১. আমে প্রচুর আয়রন থাকার জন্য গর্ভবতী নারীদের জন্য আম বিশেষ উপকারী ফল।
১২. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে পাকা আম।
উপরে উল্লেখিত স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশপাশি আমের আরো অনেক উপকারিতা আছে। তবে প্রতিদিন কতটুকু আম খাওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিৎ। বিশেষত ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত বেশি পরিমাণে আম খাওয়া একেবারেই ঠিক হবে না।
ছবি: আসিফ।