বিএনপি জোটের ২৬ নেতাকর্মী জেলহাজতে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে বানারীপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গুলি বর্ষণ ও হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ জন নেতাকর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই ২৬ জন নেতাকর্মী তাদের উচ্চ আদালতের জামিন শেষে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মোঃ ফারুক হোসাইন তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্তরা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও উদয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিলর আহসান কবির নান্না, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর রিয়াজ মৃধা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ সালাম ফকির, শামিম বেপারী, শাকিল আহমেদ, তপন, আঃ রহমান হাওলাদার, নিয়ামত সিদ্দিক, পাভেল হাওলাদার, আলমগীর মাঝি, জসিম আকন, মিজান ফকির, রিয়াজ ফকির, সাগর, লিমন মাঝি, জন মোল্লা, সোহেল হাওলাদার, ইলিয়াস ফকির, আলমগীর হোসেন, ডালিম, নান্নু মৃধা, নজরুল মোল্লা, জসিম, রবিউল ও খোকন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর আ'লীগ নেতা শাহিন সরদার, যুবলীগ নেতা দুলাল তালুকদারের মোটরসাইকেলে করে বাসস্ট্যান্ড হয়ে পৌর শহরে প্রবেশ করছিল। এ সময় তাদের মটর সাইকেলের সামনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শাহে আলমের নৌকা প্রতীকের লিফলেট লাগানো দেখে বিএনপির প্রার্থী সান্টু’র সমর্থিত নেতাকর্মীরা লাঠি দিয়ে তাদের পেটাতে শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

এতে তারা দুজনেই গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সান্টু ও তার সাথে থাকা অপর দুইজন গাড়ি থেকে নেমে অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে।

একই সাথে তারা নেতাকর্মীদের এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১১ নেতাকর্মী আহত হয়।

আর এ ঘটনায় ওই দিনই আ’লীগ নেতা মাহফুজুল হক মাছুম বাদী হয়ে বিএনপি প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুসহ নামধারী ৫৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি ওই মামলার অভিযুক্ত ২৬ জন নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন নেয়। ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তারা পুনরায় বরিশালের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।