ঘুরে আসুন চাঁদপুরের ‘মিনি কক্সবাজার’
চাঁদপুর জেলা শহরের প্রায় দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা ও মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠেছে চর। চারদিক জলবেষ্টিত হওয়ায় দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে চরটি। চরটি মোহনার চর বা চাঁদপুরের সৈকত বা মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিদিনই আসছে দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, চরের পাশেই শহর। যাতায়াত ব্যবস্থাও সহজ। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ভাড়াসহ অন্যান্য খরচও নাগালের মধ্যে। চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে আটোরিকশা বা রিকশায় চড়ে লঞ্চঘাট যেতে হবে। সেখান থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে যাওয়া যাবে মিনি কক্সবাজার খ্যাত ওই চরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চরে বেঞ্চ পেতে রাখা হয়েছে। ওপরে রঙিন ছাতা, সামনে বিস্তীর্ণ জলরাশি। ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকা নিয়ে চরে আসছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা। কেউ কেউ পানিতে ছোটাছুটি করছে, কেউ আবার বালুচরে আড্ডা ও খেলায় ব্যস্ত।
গত শনিবার চরে ঘুরতে আসা মহিউদ্দিন আল আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চাঁদপুর সম্পাদক পরিষদের আয়োজনে এখানে ঘুরতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে।’
খাজা সাফিউল বাশার রুজমন জানান, কক্সবাজারে একাধিকবার গিয়েছেন। তবে এবার চাঁদপুরে এসে তার মনে হচ্ছে মিনি কক্সবাজারে এসেছেন।
পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহাবুদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এখানে বেশ কয়েকবার এসেছি। এবার পরিবার নিয়ে এসেছি। চাকরি করে দূরে যাওয়ার তেমন সুযোগ হয় না। তাই সরকারি ছুটির দিনে এখানে আসা হয়।’
আইনজীবী বদরুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্থানীয়দের খরচ করে আর কক্সবাজারে যাওয়ার দরকার নেই। অল্প খরচে এই চরেই আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।’
বাবুরহাট এলাকার ব্যবসায়ী আবু তাহের বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার মাঝখানে এতো সুন্দর চর জাগার খবর আগে জানতাম না। তবে চরে আসলে মনে হয় কক্সবাজারে এসেছি। যদিও এখানে নোনা পানি ও ঢেউয়ের শব্দ নেই। তবে এখানের যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে পর্যটক সংখ্যা বাড়বে।’
চাঁদপুর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে চরটিতে আটটি ছাতা ও বেঞ্চ বসানো হয়েছে। এছাড়া একটি শৌচাগার, একটি দোকান ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। জনপ্রতি আসা-যাওয়ার জন্য ট্রলার বা নৌকা ভাড়া রাখা হচ্ছে মাত্র ৫০ টাকা।’
পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই চর চাঁদপুরের আকর্ষণীয় স্থান। যদিও বৃষ্টিতে চর ডুবে যায়। তবে চরের উন্নয়নে আমরা কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’