সুন্দরবনের খালে দুই মাস মাছ ধরা নিষেধ
সাতক্ষীরা রেঞ্জে পশ্চিম সুন্দরবনের সকল খালে জেলেদের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রজনন বৃদ্ধির জন্য আগামী জুলাই-আগস্ট দুই মাস জেলেরা বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিহ্নিত খালে কোনো প্রকার মাছ আহরণ করতে পারবেন না।
তবে এ সময়ের মধ্যে জেলেরা বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে নদীতে মাছ আহরণ করতে পারবেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাস মাছের প্রজনন মৌসুম। সুন্দরবনে ছোট বড় ১৩টি নদ-নদীর পাশাপাশি ৪৫০টি খাল প্রবাহমান। এসব নদ-নদী, খালে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মলাস্কা ও লবস্টার পাওয়া যায়।
সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের জেলে রবীন্দ্র নাথ, অমল ও আয়ুব এবং ডুমুরিয়া গ্রামের আক্কাজ ও জব্বারসহ অন্যান্য জেলেরা জানান, দুই মাস সুন্দরবনের খালে মাছ ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোনো অসুবিধা হবে না। নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন জেলেরা।
সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জিএম রফিক আহম্মেদ জানান, সুন্দরবনে মাছ আহরণের জন্য অনুমতি গ্রহণের সময় জেলেদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে নজরদারির জন্য বন বিভাগের পাশাপাশি সিপিজি, ভিটিআরটি টিম ও সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োজিত থাকবে।
সার্বিক বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন জানান, সুন্দরবনে সকল খালে প্রজনন বৃদ্ধির জন্য দুই মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে জেলেরা যাতে খালে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হবে।