কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
কুমিল্লাতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন। তারাসহ বর্তমানে মোট ১৯ জন রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও এ পর্যন্ত ২৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত কাউকে এডিস মশায় কামড়ালে এবং ওই মশাটি যদি আর অন্য কাউকে কামড়ায় তবে তার শরীরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যাও। এছাড়া কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এডিস মশার লাভা পাওয়া গেছে।
তাই চিকিৎসকরা বলছেন, কুমিল্লা এলাকা ডেঙ্গু ঝুঁকিমুক্ত নয়।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, কুমিল্লা শহরের বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
এছাড়াও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার একজন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় ফিরেছেন। তিনি জন্ডিসেও আক্রান্ত হওয়ায় তাকে পুনরায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেলে যে ১৯ জন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন, নারী ৫ জন এবং শিশু ১ জন। তাদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়, তারা অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়েই আছেন।
ডেঙ্গুর ভয়াবহতার বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক আছে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামের ইউনিয়নের মো. আবদুল করিমের ছেলে মো. শামীম আহমেদ (২৬) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জুলাই এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। শামীম রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। ঢাকায় বসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। সেখানে স্বজনরা কেউ না থাকায় কুমিল্লা এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অধ্যাপক মো. মাহাবুবুল আলম মজুমদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কোনো প্রকার অবহেলা করা হচ্ছে না। সঠিকভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতায় জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগ একসঙ্গে কাজ করছে।