পটুয়াখালীতে ৩৯৮ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ
পটুয়াখালী জেলার ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন ভবনে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এ কারণে বিদ্যালয়ের পলেস্তারা খসে ও কংক্রিটের ভাঙা অংশ পড়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
তবে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোর পাশে অস্থায়ী ক্লাসরুম তৈরি না করলে যেকোনো সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১২ সালে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১২১নং দক্ষিণ পশ্চিম কলাগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে দীর্ঘ সাত বছরেও বিদ্যালয়টির জন্য একটি নতুন ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় একটি মাত্র ক্লাস রুমে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে ভয় আর আতঙ্কের মধ্যেই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শিক্ষকদের পাঠদান করতে হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘ভবনের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেছি। বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও অদৃশ্য কারণে এই বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মিত হয়নি।’
মূলত পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলায় ৩৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এখন এমন বেহাল অবস্থা। বছরের পর বছর এসব বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা বরিশাল উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ছাইয়াদুজ্জামান জানান, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে দ্রুত এসব ভবন নির্মাণ কিংবা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।