পাবনায় গৃহবধূ গণধর্ষণ: ওসি প্রত্যাহার, এসআই সাময়িক বরখাস্ত
পাবনায় চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলায় সদর থানার ওসিকে (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) প্রত্যাহার, এসআইকে (উপপরিদর্শক) সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ। এই মামলায় পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাকির হোসেন ড্রাইভার (৩৫) ও সঞ্জু মোল্লা (২২)।
জেলা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার টেবুনিয়া এলাকা থেকে ইসলামগাঁতি গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে জাকির হোসেন ড্রাইভার ও ফলিয়া গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে সঞ্জুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
রফিকুল ইসলাম বলেন, 'ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।'
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গণধর্ষণের মামলায় মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গেল সোমবার ও বুধবার এই গণধর্ষণের মামলায় রাসেল ও শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে আসামিরা জনৈক গৃহবধূকে চার দিন আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন। এক সময় নির্যাতিতা পালিয়ে সদর থানায় আশ্রয় নেন এবং অভিযোগ করেন। কিন্তু তার অভিযোগ আমলে না নিয়ে পুলিশ ধর্ষক রাসেলের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেন। এ ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জেলা পুলিশের নির্দেশে ৯ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের প্রেসক্লাবের সামনে জেলা মহিলা পরিষদের আয়োজনে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।