জামালপুরে ৫ মিনিটের মধ্যে ২ শিশুর মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ
মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জামালপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে দুই কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আর হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে শিশু দু’টির মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঝালুরচর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের নয় দিনের মেয়ে সামিয়াকে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির পর স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়া হয় তাকে। রাত ৮টার পর শিশুটি তিন বার হেঁচকি দিলে নার্সদের ডাকেন তারা। কিন্তু ওয়ার্ডে থাকা নার্স তখন না এসে অনেক পরে আসেন। তার আগেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটি মারা যায়।
সামিয়ার নানি আজিমা বেগম জানান, শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। নার্সদের ডেকেও পাওয়া যায়নি।
সামিয়ার মৃত্যুর পাঁচ মিনিট পর মারা যায় একই ওয়ার্ডে ভর্তি ইসলামপুরের গুঠাইল এলাকার কৃষক সোবাহান মিয়ার দুই দিনের মেয়ে। ওই শিশুকে ভর্তি করা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে।
শিশুটির নানি ফরিদা বেগম জানান, সামিয়া মারা গেলে তার নাক থেকে অক্সিজেন খুলে তার নাতনির নাকে লাগানোর পর পরই সে মারা যায়। এ সময় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক ছিলেন না।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম দাবি করেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে দুই শিশু মারা গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৫ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ৭০ জন ভর্তি আছে। দুই শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। স্যালাইন বা অক্সিজেন দেওয়ার কারণে মারা যাবার কোনো কারণ নেই।