ব্যতিক্রমী বিয়ের পর এবার অনুষ্ঠিত হলো ‘বরভাত’
বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি যাবে বর। বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে ফিরবে বাড়ি। এটাই বিয়ের প্রচলিত ধারা। কিন্তু, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ঘটে বিয়ের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিয়ে করতে বরের বাড়িতে হাজির হন চুয়াডাঙ্গার কনে খাদিজা আকতার। বিয়ের পর নতুন বরকে নিয়ে ফেরেন তার বাবার বাড়িতে।
ব্যতিক্রমী বিয়ের একদিন পর ‘বরভাতের’ আয়োজন করে বিয়ের পর প্রচলিত বৌ-ভাতের প্রথাও ভাঙলেন এ দম্পতি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটি গ্রামে কনের বাড়িতে আলোচিত এই বিয়ের বরভাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরভাত উপলক্ষে কনের বাড়িতে আলোকসজ্জা, জমিয়ে চলেছে রান্নাবান্না, গেটে আমন্ত্রিত বরপক্ষের লোকজনের অপেক্ষা আর আপ্যায়নের কমতি ছিল না নববধুর পরিবারের।
বিয়ের আদি রীতিনীতি ভেঙে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় কনের বাড়িতে বরভাত খেতে আসেন বরপক্ষের লোকজন।
বরের বাড়ি থেকে বরভাতে প্রায় ৩০ জন অতিথি আসেন কনে পক্ষের বাসায়। সন্ধ্যার পর বরপক্ষ তাদের নববধূ নিয়ে ফিরে যান মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে। কনে খাদিজা পিতার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ব্যতিক্রমী এক বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার হাজরাহাটি গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে খাদিজা আকতারের সাথে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের কমরেড আব্দুল মাবুদের ছেলে তরিকুল ইসলামের। কনে খাদিজা নিজেই বরের বাড়ি মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে যান বিয়ে করতে। বরপক্ষের সদস্যরা বিয়ের গেটে কনেকে বরণ করার পরই সম্পন্ন হয় বিয়ে। সন্ধ্যার দিকে বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন খাদিজা।
বিয়ে নিয়ে খুশি কনে খাদিজা ও বর তরিকুল। সংসার জীবনে তারা যেন সুখী হতে পারে সেজন্য সবার কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
আলোচিত এই বিয়ের বরভাত অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় চুয়াডাঙ্গার হাজরাহাটি গ্রামের শত শত নারী পুরুষ। এমন আয়োজনে বরভাত খেতে আসা অনেকেই জানিয়েছেন বিয়ের ইতিহাসে সাক্ষী হবার জন্যই তারা বরভাত খেতে এসেছেন।