রামু ট্রাজেডির ৭ বছর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ। ফাইল ছবি।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ। ফাইল ছবি।

কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলার ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ (২৯ সেপ্টেম্বর)। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে ইতিহাসের বর্বর ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছিল ধর্মীয় সম্প্রীতির লীলাভূমি এই জনপদে। এমন ঘটনার পর থেকে শত বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়।

তবে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে ইতোমধ্যে সেই চিড় ধরা ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আবারো জোড়া লেগেছে। হারানো সেই সব বৌদ্ধ স্থাপনা আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে ঘটনার ৭ বছরের মাথায় এসেও সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ। মামলার চার্জশিট দাখিল নিয়ে রয়েছে চরম অসন্তোষ। বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণ বলছেন এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত অনেক মানুষ মামলার আসামি নন। এক্ষেত্রে তদন্তে ব্যাপক অনিয়মের কথা বলছেন তারা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর কক্সবাজারের ৪টি উপজেলায় ১৮টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা করা হলেও তা পরে উঠিয়ে নেয়া হয়। পুলিশের দায়ের করা ১৮টি মামলা এখনো চলমান। চার্জশিট হলেও সাক্ষীদের অনীহার কারণে এখনো মামলাগুলো আলোর মুখ দেখছে না।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে রামুর বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের সহকারী পরিচালক (আবাসিক) প্রজ্ঞানন্দ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘটনার ৭ বছর পর বৌদ্ধরা নিরাপত্তায় রয়েছে। কিন্তু মামলার প্রক্রিয়াটি আরও যাচাই বাছাই জরুরি। এতে যে সব নিরীহ লোক হয়রানির শিকার হচ্ছে তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত দোষীদের আসামি করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বর্তমানে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই ভালো আছে। তাদের মধ্যে আবারো সেই শত বছর আগের সম্প্রীতি ফিরে এসেছে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার ক্ষত এখন আর নেই। সবকিছু বদলে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর ঘুমন্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিখায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।