হিলিতে পেঁয়াজ মজুদ করছেন আমদানিকারকরা
দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিভিন্ন বেসরকারি গুদামে মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে। এতে সারাদেশে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ আছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। গুদামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ থাকার পরও আমদানিকারকরা তা বিক্রি করছেন না। ফলে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই ১৪টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর আর কোনো ট্রাক আসেনি। এই খবরে বন্দরের মোকামে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বেড়ে গেছে।
বন্দরের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ভারতের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের ফোন করে জানিয়েছেন সেখানে ব্যাপকভাবে বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। এতে ভারত সরকার গতকাল রোববার বিকেলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি না করার নির্দেশনা দেয়। বিকেল ৪টার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে শতাধিক ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক মাস আগে ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ২৫০-৩০০ মার্কিন ডলার থেকে ৮৫২ ডলার নির্ধারণ করে। আর গতকাল রোববার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ অনেক ব্যবসায়ীর এলসি খোলা আছে, তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’