পাবনার ১০ গ্রাম প্লাবিত, ডুবে গেছে শীতকালীন সবজি
পাবনার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে পদ্মার পানি বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১৬ বছর পর এভাবে পানি বেড়েছে। ফারাক্কার সবগুলো লকগেট খুলে দেয়ায় এই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাকশী, সাড়া ও লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৩ সালে পদ্মার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। যা এবার ১৬ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এছাড়াও জেলায় যমুনা, চলনবিল, গৌমতি, চিকনাই ও ইছামতিতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামের পানিবন্দী বাসিন্দা কমেলা খাতুন, সাইফুল ইসলাম, দেরাজ আলী বলেন, ‘আমরা বন্যার পানিতে বন্দী থাকলেও উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ত্রাণ আসেনি। এমনকি কেউ খোঁজ খবরও নেয়নি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, পানি বাড়লেও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা নেই। কিছুদিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।