পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের ভয়ঙ্কর দিন আসছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন তাদের জন্য ভয়ংকর দিন আসছে। কোনোভাবেই তারা রেহাই পাবেন না। চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যারা করাচ্ছেন তারাও বিচারের মুখোমুখি হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে তিন জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুধবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং আজকে জনপ্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। সবকিছু শুনে আমি আতকে উঠলাম। তাদের বক্তব্য মতে, হঠাৎ করে পার্বত্যাঞ্চলের রক্তপাত বেড়ে গেছে।
এ রক্তপাত এতই নৃশংস হচ্ছে যে, কাউকে যদি হত্যা করা হয় তার হয়ে কেউ থানায় যেতে পারছে না, পরবর্তী টার্গেট হওয়ার ভয়ে। সাক্ষী দিতেও যাচ্ছে না অস্ত্রের ভয়ে। এর থেকেও আরো ভয়াবহ হচ্ছে, সাইবার ক্রাইমও বেড়ে গেছে এখানে। আমি অবাক হই, এখানে স্কুল করতে দিচ্ছে না, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করতে দিচ্ছে না। কার স্বার্থে? আমরা জানতে চাই। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের স্বার্থে এই অঞ্চলের মানুষ অন্ধকারে থাকবে, এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন ঘরে বসে বসে অস্ত্রের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলাকে অচল করে রাখার স্বপ্ন দেখবেন, সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থাকবে, কখনও সফল হবে না। আমরা ধৈর্য্য সহকারে মোকাবেলা করছি বলে এটা ভাববেন না আমাদের কোনও সক্ষমতা নাই। পার্বত্য জনপদের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করছি, আমরা বর্তমানে সন্ত্রাসীদের দমনে অনেকখানি সক্ষম, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, আমাদের সামরিক বাহিনী আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী, আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, সব ঘটনা জেনে গেলাম। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা চাইবো, যাতে করে এ এলাকায় শান্তি আসে, এ এলাকার জনগণ যাতে শান্তির সুবাতাস পেতে পারে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং-এর সভাপতিত্বে সভায় রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ, পুলিশের আইজপি মো. জাবেদ পাটোয়ারী, পার্বত্য সচিব মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম, আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।