নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে মেঘনায় ২২৭ অভিযান

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঘাটে বাঁধা রয়েছে জেলেদের নৌকা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঘাটে বাঁধা রয়েছে জেলেদের নৌকা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ওই সময় জাল-ইলিশসহ আইন অমান্যকারী ৯০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জনকে কারাদণ্ড ও ৫৭ জনকে জারিমানা করা হয়।

এদিকে বুধবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে নদীতে যাবে লক্ষ্মীপুরের অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকারিভাবে বিনামূল্যে ৩৭ হাজার ৩২৬ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে ৫০ হাজার ২৫২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে।

তবে বেসরকারি কয়েকটি সংস্থার তথ্য অনুসারে এ জেলায় প্রায় ৬২ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।

বিজ্ঞাপন

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, নদীতে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে ২২৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে রায়পুরের টাংকির খাল পর্যন্ত শুধুমাত্র লক্ষ্মীপুরের ৭০ কিলোমিটার মেঘনা এলাকায় প্রশাসন এ অভিযান চালায়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ওই সময় ৯০ জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৩ জনকে কারাদণ্ড ও ৫৭ জন জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে।

এ সময় জব্দকৃত ১.৬ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। জালগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া জব্দ হওয়া ৯৩৫ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্যাহ জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে ৯০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ৫২টি মামলা ও ৩৭ বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জাটকা সংরক্ষণে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ৩০ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মোট মেঘনার ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।