বার্তায় সংবাদ প্রকাশের জেরে

বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কৈফিয়ত চেয়ে দুই শিক্ষককে চিঠি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

২নং নতিব চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নীলফামারী সদর

২নং নতিব চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নীলফামারী সদর

বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে নীলফামারী সদর উপজেলার ২ নং নতিব চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের কাছে কৈফিয়ত জানতে চেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। নীলফামারী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এনামুল হক সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশের শীর্ষ মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এ ‘অনুপস্থিত দেখিয়ে আমি কি মাইর খাব’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের জেরে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাঈম শাহারিয়ারকে এবং বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ আল শাফিকের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাঈম শাহারিয়ারকে পাঠানো চিঠিতে গত ২৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকায় কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

অপরদিকে নাঈম শাহারিয়ার অনুপস্থিত থাকলেও কেন তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়নি অথবা কেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়নি- তার সন্তোষজনক জবাব জানাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ আল শাফিকে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাঈম শাহারিয়ার স্কুলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে মৌখিকভাবে তথ্য চাইলেও প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে কোনও তথ্য দেননি।

নীলফামারী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকসহ স্কুলের প্রধান শিক্ষককের কাছে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।