মুয়াজ্জিনের মাইকের ডাকে ছুটে আসেন উদ্ধারকর্মীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাতে ট্রেন দুর্ঘটনাহঠাৎ বিকট শব্দ, কান্নার আওয়াজ। কিছু বুঝে উঠার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় মাইকে মুয়াজ্জিন ঘোষণা দেন দুর্ঘটনার। মুয়াজ্জিনের মাইকের ঘোষণায় মুহূর্তেই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ও যুবকরা এগিয়ে আসেন উদ্ধারকাজে অংশ নেয়ার জন্য।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত তিনটার দিকে মন্দবাগ এলাকার মসজিদের মুয়াজ্জিন সোহরাব হোসেন উদ্ধারের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল আসার আগে প্রথমেই এগিয়ে আসেন এলাকাবাসী।
উদ্ধারকারী যুবক মন্দবাগ এলাকার মো. শাহজাহান মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে প্রথম উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এগিয়ে আসেন।
একই এলাকার আরেক উদ্ধারকারী যুবক ইসমাইল মিয়া জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করেই দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসি। মানুষের হাত, পা, মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জীবনে প্রথম দেখলাম।তবুও এই এলাকার সাধারণ মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা অভাবনীয়।
মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হন।