ঘূর্ণিঝড়ে চাঁদপুরে কয়েক কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল বর্ষণে কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

প্রবল বর্ষণে কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব ও টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণে শতাধিক ইটভাটার কয়েক কোটি টাকার কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ইট নষ্ট হওয়ায় ভাটা-মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনি বেশ কয়েক দিনের জন্য ভাটাশ্রমিকেরাও বেকার হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, বছরের শুরুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে ইটভাটার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সপ্তাহখানেক আগে ইটভাটাগুলোতে শতাধিক শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন শুরু হয়েছিলো। প্রায় কয়েক কোটি টাকার কাঁচা ইট তৈরি করে শুকানো হচ্ছিলো খোলা মাঠে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব ও টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ইট ভিজে গলে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

বিজ্ঞাপন

ভাটার মালিকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের খবর পাওয়ার পরপরই তারা শুকনো কাঁচা ইটগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে পানি থেকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির তীব্রতা এতটাই ছিল যে পলিথিন দিয়েও তা রক্ষা করা যায়নি। এ ছাড়া প্রবল বর্ষণে মাঠে পানি জমে যাওয়ায় স্তূপ করে রাখা ইটও পানিতে গলে মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।

হাজীগঞ্জ উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়নের ব্রিকফিল্ডের মালিক নাজির আহমেদ জানান, তার দুইটি ইটভাটার একটিতে কাঁচা ইট তৈরি শুরু হয়েছিলো। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে তার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বিজ্ঞাপন

একই এলাকার সৈয়দ আতিক শাহ্ ব্রিকফিল্ডের মালিক রেজাউল করিম রাজু বলেন, আমাদের ব্রিকফিল্ডে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের রনি ব্রিকস্-২ এর ম্যানেজার বাবু বলেন, ইটভাটায় প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রনি-১ ও অনি ব্রিকসের মালিক আবদুল মান্নান খান বাচ্চু বলেন, আমার দুইটি ব্রিকসে প্রায় তিন লাখ কাঁচা ইট বিনষ্ট হয়েছে। তাতে প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জেলার সবচেয়ে বেশি ইটভাটা রয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। ওই উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার টিএসবি ব্রিকসের মালিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, তাদের ১০টি ব্রিকসে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কচুয়া উপজেলার এইচবিবি ইটভাটার মালিক আবদুল হান্নান বলেন, টানা বৃষ্টিতে দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো ইটভাটায় পাঁচ লাখ, কোনোটাতে দশ লাখ টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। জেলায় প্রায় ১০৮টি ইটভাটায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।