বিএনপি এখন গুজবের রাজনীতি করছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চিলমারী নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে নৌ প্রতিমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চিলমারী নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে নৌ প্রতিমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজপথে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন গুজবের রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (এমপি)।

তিনি বলেন, সঠিক রাজনীতি না করে বিএনপি বিপদগ্রস্ত রাজনীতির পথ ধরেছে। কখনও তারা পেঁয়াজ, কখনও লবণ আবার কখনও পরিবহন নিয়ে রাজনীতি করছে। রাজনীতির গতি হারিয়ে এখন গুজবের রাজনীতি করছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়নে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলমারী নৌ বন্দর নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে খুনের জনপদে পরিণত করেছিলেন। তিনি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শতশত অফিসারকে হত্যা করেছিলেন। এরা একটি খুনি পরিবার। এ পরিবারের সঙ্গে যারা রাজনীতি করে তারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়। তাই তারা সঠিক রাজনীতি না করে বিপদগ্রস্ত রাজনীতির পথ ধরেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির গতি হারিয়েছে। তাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে বন্দি। আইনগতভাবে তাকে বের করা ছাড়া বিএনপির কোন উপায় নেই। আর তার ছেলে তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি হিসেবে বিদেশে পলাতক আছেন।

চিলমারী নদী বন্দর প্রসঙ্গে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের পোর্ট অব কল আছে এখন ভুটানকেও পোর্ট অব কলে যুক্ত করব। চিলমারীর এই রুটটি হবে আন্তর্জাতিক রুট। আশা করছি রুটটি চালু হলে এই এলাকার অর্থনীতিতে বিরাট গতি সঞ্চার হবে।

এসময় তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে নদী রক্ষা কর্মসূচিও ছিলো। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা থেমে যায়। তবে এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি শিগগিরই বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশের পরিচয়ে ফিরিয়ে আনতে পারব।

এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, নৌ পরিহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভোলানাথ দে, প্রধান প্রকৌশলী মহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।