সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, 'দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুত আছে। চালের বাজার স্থিতিশীল আছে। সিন্ডিকেট করে দর বাড়ানোর সুযোগ নেই। গুজব ছড়িয়ে বাজার দর অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।'
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নওগাঁর পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্য শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে। চালের বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। অজুহাত দিয়ে চালের দর বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। দেশের শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শস্য উৎপাদন করেছেন। সেই শ্রম কিছুতেই মূল্যহীন হতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে অতিরিক্ত দরে যাতে ভোক্তাকে চাল কিনতে না হয় সেজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।'
সরকারি গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃত কৃষক ছাড়া কারো কাছ থেকে ধান কেনা হবে না। সরকারি শস্য ক্রয়ে রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রভাবশালীদের স্থান দেওয়া হবে না। ধান দিতে এসে কৃষককে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হতে হয়; এজন্য কর্মকর্তাদের ডেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'ধান-চাল ক্রয় মনিটরিং করতে খাদ্যমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো সারাদেশে শস্য সংগ্রহ ও বাজার দর মনিটরিং করবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে সজাগ থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, 'সরকারি ধানক্রয় সহজ ও ডিজিটালাইজড করতে পরীক্ষামূলক ভাবে দেশের ১৬টি উপজেলায় 'কৃষকের অ্যাপ' চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে চাষিরা সহজেই ঝামেলাহীনভাবে গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারবেন। আমন ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। তবে এখনও পুরোদমে কৃষকের ঘরে উঠেনি। কাঁচা ধানের বর্তমান বাজার দরে খুশি কৃষক।'
এবার চাষিরা ভাল দাম পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।