‘সন্ত্রাসীদের সহযোগিতাকারী সংসদ সদস্য হলেও ছাড় নয়’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আজ সুন্দরবনের দস্যু, পাবনার চরমপন্থী, টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী ও দ্বিতীয়বারের মত মহেশখালীর জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে। আর যারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাসীদের দমন করবে। আর তাদের সহযোগিতাকারী, সে যেই হোক না কেন তাকেও মোকাবিলা করা হবে। সে যদি সংসদ সদস্য হয় তবুও ছাড় দেয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু মহেশখালীতে সরকারের উন্নয়নযজ্ঞ চলছে তাই এখানে কোন জলদস্যু বা সন্ত্রাসী থাকতে পারবে না। আমরা সব সন্ত্রাসীদেরকে দমন করবো। এটা সারাদেশে চলবে।

বিজ্ঞাপন

এরআগে, ১৮টি বাহিনীর ৯৬ জন জলদস্যু ও অস্ত্রকারিগর স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এসময় তারা দেড় শতাধিক বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই হাজারেরও বেশি গোলাবারুদ জমা দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র‌্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণের পর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অনেক শীর্ষ দস্যু ও অস্ত্র কারিগর। যার কারণে বিভিন্ন পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান বৃদ্ধি করে পুলিশ। অভিযানের মুখে আবারো আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার দস্যু ও অস্ত্র কারিগররা।