গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আতঙ্কিত পীরগাছার কৃষকরা

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পীরগাছা (রংপুর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু। ফাইল ছবি।

লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু। ফাইল ছবি।

রংপুরের পীরগাছায় গবাদিপশুর মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। তবে রোগ নিরাময়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম ঘুরে এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে অন্তত ২০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা হয়। কৃষকরা জানান, প্রথমে আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গুটির মতো হয়। তিন-চার দিন পর ফুলে ওঠা গুটিগুলো ফেটে কষ ঝরতে থাকে। এতে আক্রান্ত গরু আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ সময় গরুর শরীরের তাপমাত্রা (জ্বর) বেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভাইরাসটি লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামে পরিচিত। লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসের এখনো পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। মশা ও মাছির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।

পাঠক শিকড় গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘১০ দিন আগে আমার একটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গরুর পুরো শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আরেক কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার একটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সরকারি ডাক্তার ডাকলে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়। তারপরও ডাক্তারদের সহযোগিতা পাওয়া যায় না।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামছুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এ রোগের কারণে কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহজালাল খন্দকার জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো তৈরি হয়নি। সচেতনতার মাধ্যমে এ ভাইরাস থেকে বাঁচা সম্ভব। এ জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিতে হবে।