স্টেশনগুলো আর বেঁচে নেই
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৭টি রেলস্টেশনের মধ্যে ৪টিরই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- জাফরশাহী (ভাটারা), বাউসী, বয়ড়া ও নব নির্মিত শহীদ নগর বারইপটল স্টেশন।
স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায়, ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। এগুলোতে চলে ধান মাড়াই, খড় শুকানো ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এখানকার নিয়মিত ঘটনা। স্টেশন বন্ধ থাকায় মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি ও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে স্টেশনগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চারদিক জনশূন্য, ভূতুরে পরিবেশ। স্টেশনের সব কক্ষই তালাবদ্ধ। নেই বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা।
প্রতিটি রেলস্টেশনে একজন স্টেশন মাস্টার ও সহকারী মাস্টার এবং চারজন করে পয়েন্টম্যান থাকার কথা থাকলেও এসব স্টেশনে কেউ নেই। ফলে যাত্রীদের সহায়তা করা ও টিকিট কাটার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই রেল ষ্টেশনগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এখানে এক সময় স্টেশন মাস্টারসহ রেলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও অনেক লোক থাকতো। তাদের থাকার জন্য কোয়ার্টার ছিল। তখন বেশ মুখরিত ছিল এই স্টেশনগুলো। তবে অনেক বছর থেকে স্টেশন বন্ধ থাকায় রেল বিভাগের কোন লোক নেই। ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নবনির্মিত রেল ভবন, কোয়ার্টার ও স্টেশনে মূল্যবান যন্ত্রপাতি, সরকারি আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসব স্টেশনের এক সময়ের ব্যবসায়ীরা জানান, স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় আগের মত লোক আসে না। তাই আগের মত ব্যবসা নেই।
সরিষাবাড়ী স্টেশন মাস্টার আবদুর রাজ্জাক বার্তা২৪.কমকে বলেন, লোকবল সঙ্কটের কারণে ষ্টেশন বন্ধ রয়েছে সে কারণে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ময়মনসিংহ, জামালপুর, সরিষাবাড়ী ও তারাকান্দি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত চলাচলকারী তিনটি লোকাল ট্রেনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর সময়সূচীর মিল না থাকায় যাত্রীরা ট্রেনগুলোয় ভ্রমণের সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। ফলে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এতে রেল খাতে লোকসানের পরিমাণও বাড়ছে।