খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে ওসনা বেওয়ার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ওসনা বেওয়া

ওসনা বেওয়া

খেয়ে না-খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের মৃত বক্তার আলীর স্ত্রী ওসনা বেওয়া (৬০)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিত্য অভাবকে সঙ্গে নিয়ে দিন কাটে তার খেয়ে না খেয়ে। নিজের জায়গা জমি বলতে কিছু নেই ওসনা বেওয়ার। থাকার জন্য বছরে এক হাজার টাকায় একটি ছাপড়া ঘর ভাড়া নিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে নিয়ে গেছে তার সব এখন সে নিঃস্ব। ২০-২৫ বছর আগে মারা গেছে স্বামী । অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে জীবন অতিবাহিত করছেন তিনি। একমাত্র ছেলে সেও বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ওসনা বেওয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছাপড়া টিনের ঘরের এক কােণে মাটিতে পাতা একটা ময়লা বিছানা। রশিতে বাঁশ বেঁধে পুরাতন কিছু কাপড় টানিয়ে রেখেছেন ঘরে ।

ওসনা বেওয়া বার্তা২৪.কমকে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার কেউ নেই, কিছুই নাই। বুড়ো বয়সে মানুষের বাড়িতে কাজ করি মাঠে মাটি কাটি। আর কয়দিন বাঁচবো জানি না। কাজ করলে পেটে ভাত যায়, না করলে যায় না। মাটির ডালি একবার মাথায় নিলে আর একবার নিতে খুব কষ্ট হয়। কি করবো কাজ না করলে যে খাবার জোটে না। কি ভাগ্য আমার স্বামী মরার অনেক বছর হয়েছে কিন্তু এ বয়সেও জোটেনি বিধবা ভাতা।

স্থানীয়-উজির আলী ও সামছুল হক জানান, ওসনা বেওয়া খুব অভাগী। স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলেও দেখাশুনা করে না। তিনি অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন। বিধবা ভাতা ও একটা ঘর পাওয়ার যােগ্য বলে জানান তারা। তারা আরও জানান, টাকা দিলে বিধবা ভাতা হয়; না দিলে হয় না।

বিজ্ঞাপন

এব্যাপারে যাত্রাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার বার্তা২৪.কমকে জানান, ওসনা বেওয়া আমার কাছে কখনো আসে নাই। আমি তো জানিও না। আমার কাছে আসলে কাগজপত্র দেখে একটা ব্যবস্থা করে দিবো। যাদের তালিকা আমি পেয়েছি তাদের তালিকা সমাজ সেবাতে পাঠিয়েছি।