টিসিবি’র পেয়াঁজে রাঙামাটির বাজারে স্বস্তি!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি

রাঙামাটিতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি

জেলা প্রশাসকের চাপের মুখে অবশেষে রাঙামাটি শহরে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছেন জেলার লাইসেন্সভুক্ত ৭ ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় টিসিবির পেয়াঁজ বিক্রি শুরু হয়। ৪৫ টাকা কেজি দরে পেয়াঁজ কিনতে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যান।

বিজ্ঞাপন

টিসিবি’র কার্যক্রম উদ্বোধন করতে এসে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল জানিয়েছেন, প্রতি জন ক্রেতাকে সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেয়াঁজ কেনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহন খরচ দিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে টিসিবি কর্তৃপক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১০ মেট্রিক টন পেয়াঁজ এনেছি। সেগুলো শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হবে স্টক থাকা পর্যন্ত। চাহিদার ভিত্তিতে আরও পেয়াঁজ আনা হবে এবং মূল্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় এবং রিজার্ভ বাজার এলাকায় পেয়াঁজ বিক্রি শুরু হলে স্থানীয়রা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এ সময় কর্তব্যরত ছিলেন। পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় টিসিবি’র ডিলাররা গাড়িতে রেখে এসব পেয়াঁজ বিক্রি করেন।

টিসিবি’র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাঙামাটি শহরে আগামী দু’দিন ভোজ্যপণ্য বিক্রি করবেন তারা। এগুলো শেষ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে পুনরায় বিক্রি শুরু হবে।

এক ক্রেতা জানান, সকালেই স্থানীয় মুদি দোকান থেকে তিনি ৫০ টাকায় ২৫০ গ্রাম পেয়াঁজ কিনেছিলেন। কিন্তু টিসিবির গাড়ি থেকে ৫০ টাকায় মিলছে এক কেজি পেয়াঁজ।

অন্যদিকে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার মিয়া বানু জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে সাধারণ ব্যবসায়ী ও দরিদ্র নাগরিকরা স্বল্পমূল্যে পেয়াঁজ কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে তাদের অনেক উপকার হচ্ছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে টিসিবি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই লক্ষ্যে টিসিবি’র ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করি এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পণ্য রাঙামাটি আনতে পরিবহন খরচ প্রদানের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করতে রাজি হন।