ত্রাণের কম্বল গুদামে, শীতে অসহায় দরিদ্ররা
রংপুরের পীরগাছায় অসহায় শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে ৫ হাজার ৫৮০ পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হলেও মাত্র ৪৭০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলো শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
উপজেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে পীরগাছা উপজেলার শীতার্তদের জন্য এক মাস পূর্বে ৫ হাজার ৫৮০ পিস কম্বল বরাদ্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯ ইউনিয়নে ৪ হাজার ১৪০ পিস বণ্টন করে দেওয়া হয়। এছাড়া এক হাজার ৪৪০ পিস কম্বল উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য রাখা হয়। উপজেলা পরিষদে বরাদ্দ রাখা কম্বলের মধ্যে গত সপ্তহে ইটাকুমারী ইউনিয়নে আদিবাসীদের জন্য ২৫০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ২২০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়। বাকি কম্বল উপজেলা পরিষদের গুদামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দিন থেকে হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে শীত জেঁকে বসেছে। গত রোববার রাত থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় ঠাণ্ডার তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। এতে শীত বস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছেন দুস্থ ও অসহায় মানুষ। বিশেষ করে তিস্তা নদী বেষ্টিত উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলো শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চরাঞ্চলের অসহায় মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।
তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জামিল রবু বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘শীত বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের অসহায় মানুষগুলো শীত বস্ত্রের অভাবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। চরাঞ্চলে হাজার হাজার হতদরিদ্র শীতার্তদের জন্য মাত্র ৪৬০ পিস কম্বল দেওয়া হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। বরাদ্দ পাওয়া কম্বল বিতরণের জন্য ইউপি সদস্যদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাঝে প্রায় এক মাস আগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যদি চেয়ারম্যানরা কম্বল বিতরণ না করে থাকে তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক। তবে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ কম্বলের মধ্যে কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’