চা-পাতার কম দামে হতাশ চাষিরা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
চা বাগানে চা শ্রমিকেরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

চা বাগানে চা শ্রমিকেরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তেঁতুলিয়া থেকে ফিরে: বাংলাদেশের তৃতীয় চা-অঞ্চল হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়। উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক এ জেলার চারপাশ এখন সবুজ চা বাগানে পরিপূর্ণ। সিলেট কিংবা চট্টগ্রামে উঁচু-নিচু ভূমিতে চা বাগান দেখা গেলেও এখানকার সব বাগানই সমতলে। অথচ একটা সময় সমতল ভূমি পতিত গো-চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার হত।

বর্তমানে অর্থকরী ফসল সবুজ চায়ের আবাদ প্রভাব ফেলেছে চা-শিল্পে। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় পঞ্চগড়ের চা। দেশের বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশ করেছে এই জেলার চা। এতে চা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।

কিন্তু ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ প্রান্তিক চাষিরা। বাগান পরিচর্যায় দেখা দিয়েছে অনীহা। এদিকে বছর বছর কাঁচা চা পাতার দাম কমতে থাকায় চাষিদের অর্থনৈতিকভাবে লোকসান গুণতে হচ্ছে। আর এমনটা চলতে থাকলে মুখ থুবড়ে পড়বে সমতলের চা-শিল্প।

অথচ চা-শিল্পের বাজারে পঞ্চগড়ের প্রবেশের ধরনটা কিছুটা ভিন্ন। ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সীমান্তের কোলঘেঁষা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় চা চাষ। বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি এখানকার মানুষদের। মাত্র চার বছর পর তেঁতুলিয়ার সাফল্যকে পুঁজি করে জেলার বিস্তীর্ণ সমতল ভূমিতে বাণিজ্যিকভাবে বিস্তার লাভ করে চা-বাগান। এখানকার উৎপাদিত চা দেশের বিভিন্ন-প্রান্ত ছাড়াও পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে এক নতুন মাইল।

কিন্তু ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ চাষিরা, বাগান পরিচর্যায় দেখা দিয়েছে অনীহা

তবে মুখে এখন হাসি নেই অর্থনীতির চাকা সচল রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় থাকা এসব চা চাষিদের। চা পাতা বিক্রি করে নগদ অর্থ পাওয়ার আশা সাধারণ চাষিরা কৃষি জমি, বাঁশ ঝাঁর, বনজ ও ফলদ বাগান উজাড় করে চা বাগান করেছিলো। তখন বাগানের কাঁচা চা পাতা কারখানার মালিকদের কাছে ২৫ থেকে ৩৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতেন চাষিরা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নানা অজুহাতে চা পাতার দাম কমিয়েছে কারখানার মালিকরা। এ নিয়ে চাষিদের আন্দোলনের একপর্যায়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে চা পাতা ক্রয়ের নির্ধারিত মূল্য প্রতি কেজি ২৪.৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি চা কারখানার মালিক, চা বাগান মালিক ও জেলা প্রশাসনসহ সুধীজনের সমন্বয়ে আলোচনা সভায় সেই দামও কমিয়ে ১৬.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় চা পাতার মান ভাল না হলে ১০% হারে কর্তন করে চাষিদের মূল্য পরিশোধ করার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের কোনো তোয়াক্কা করছেন না কারখানার মালিকেরা। এমনটাই অভিযোগ সাধারণ চা চাষিদের।

দর্জিপাড়া গ্রামের চা বাগান মালিক মেহেদি হাসান মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, চা কারখানার মালিকদের একতরফা সিদ্ধান্তে আমরা চাষিরা ক্ষতির মধ্যে রয়েছি। বর্তমানে কাঁচা পাতা যে মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে, তা দিয়ে বাগানের সার-কীটনাশক ও পাতা তোলার শ্রমিকের খরচও হয় না। বাগান পরিচর্যা করাও সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ভারতের শিলিগুড়ি, 'দার্জিলিংয়ের চা আর আমাদের চায়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। স্বাদে মানে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ার চা ভালো হলেও সিন্ডিকেটের কারণে আমরা চাষিরা এর ন্যায্য দাম পাচ্ছি না।'

কারখানার মালিকদের একতরফা সিদ্ধান্তে আমরা চাষিরা ক্ষতির মধ্যে রয়েছি

আরেক চা বাগান মালিক আতাউর রহমান বলেন, সব কিছুর দাম বাড়ে কিন্তু চা পাতার দাম বাড়ছে না। চা কারখানার মালিকেরা তাদের সুবিধা মত দাম কমিয়ে যাচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ভাউচারে কর্তনের হিসাব, প্রতি কেজির মূল্য উল্লেখ করে না। ন্যায্য দাম চাইলে কারখানার মালিকরা চা পাতা কিনতে অপারগতা প্রকাশ করে। বর্তমানে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে কারখানার মালিকরা কাঁচা চা পাতা কিনছেন বলেও বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান।

বাংলাদেশ চা বোর্ড, পঞ্চগড়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ শামীম আল-মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, চা বোর্ডের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কারখানার মালিক ও বাগান মালিকদের নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। চা পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বেশি কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কিন্তু কারখানার মালিকেরা নানান অজুহাতে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করছে না।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;