পানি না থাকায় চলছে না নৌকা, জুটছে না মাছ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধরলায় পানি না থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে পারছেন না, ছবি: বার্তা২৪.কম

ধরলায় পানি না থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে পারছেন না, ছবি: বার্তা২৪.কম

সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলায় রয়েছে ছোট বড় মিলে ১৬টি নদ নদী। তার মধ্যে ধরলা নদী অন্যতম। বছরের এই সময়টিতে ধরলায় পানি না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুন কষ্টে থাকেন নদী তীরবর্তী জেলে পরিবারগুলো। পানি না থাকায় চলছে না নৌকা, জুটছে না মাছ। ফলে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন জেলেরা।

জানা যায়, এটি শুকনো মৌসুম। এ সময় ধরলা নদীতে পানি থাকে না। পানি না থাকায় জেগে উঠেছে ছোট বড় অনেকগুলো চর।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার (১ জানুয়ারি) পানি শূন্য ধরলা নদীর তীরে জেলেরা নৌকা বেঁধে রেখেছে।

জেলে- নিতিল, ওসমান ও বুলু বার্তা২৪.কম বলেন, নদীতে পানি না থাকায় মাছ নেই বললেই চলে। এতে করে কোনো দিন মাছ পাই, কোনো দিন মাছ পাই না। মাছ পেলেও তা অতি সামান্য। যা বিক্রি করে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। এ সামান্য আয় দিয়ে সংসারের ব্যয় মেটানো ও ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ বহন করা অসম্ভব।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানান, এ পেশা আমাদের বাপ দাদার রেখে যাওয়া পেশা। ছোট বেলা থেকেই বাপ দাদার সাথে আমরা এ পেশায় নিয়োজিত। অন্য কোনো পেশা সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকায় এ পেশার ওপরই আমরা নির্ভরশীল।

রাজারহাট থেকে আসা দর্শনার্থী- শাওন ও জসিম বলেন, আমরা সময় ও সুযোগ পেলেই ধরলা নদীর অববাহিকায় নদী রক্ষা বাঁধে বেড়াতে আসি। ধরলায় পানি থাকলে এখানকার প্রকৃতি অনেক সুন্দর দেখায়। নদীতে পানি থাকলে আমরা নৌকায় চড়ে ঘুরতে পারি। এখন নদীতে পানি নেই তাই ভাল লাগছে না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এটি শুকনো মৌসুম। এ মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি প্রজেক্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নদী খনন করা হবে। নদী খনন করা হলে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।