সেতু নেই, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে চলাচল
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চর তাম্বুলপুর গ্রামে বুড়াইল নদীর উপর সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। তিন দশক ধরে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের প্রবল বন্যায় উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৬ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙে যায়। এতে তিস্তার তীব্র ভাঙনে চর তাম্বুলপুরসহ আশপাশের ১০-১২টি গ্রাম বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে চর জেগে পলি পড়ে বিধ্বস্ত জনপদটি বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ফল আর ফসলে ভরে ওঠে চারদিক। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় অবহেলিত থেকে যায় জনপদটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর তাম্বুলপুর গ্রামটিতে প্রবেশে বা যাতায়াতে নেই কোনো ভালো রাস্তা-ঘাট। বুড়াইল নদীর উপর একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে গ্রামটিতে প্রবেশ করতে হয়। ভাঙা সাঁকোটিতে চলার সময় সেটি দোলে। সাঁকোটি পুরাতন হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করছে এলাকাবাসী।
তাম্বুলপুর এলাকার বাসিন্দা শাহানত হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য যেন এটা একটা মরণফাঁদ।
স্কুল শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। সেতু নির্মিত হলেই এলাকাবাসীর জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন সুযোগের সৃষ্টি হবে।
পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রওশন জমির রবু সরদার বার্তা২৪.কমকে জানান, চর তাম্বুলপুর গ্রামের বুড়াইল নদীর উপর সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করা হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, ওই স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় রাস্তা ঘাট তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।