ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুর নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চার জনসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিপক কুমার রায়কে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এছাড়া নিহত প্রত্যেককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।’
জানা যায়, সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মামুন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মল্লিকপুর নামক স্থানে পৌঁছায়। এ সময় বোয়ালমারী থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চার জনসহ ছয় জন মারা যান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস-মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত ৬
নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ওলামাদলের সভাপতি ডা.শরীফুল ইসলাম (৪০), তার মেয়ে তাবাচ্ছুম (৮), ভাগ্নি তানজিলা (১৮), শ্যালিকা তাকিয়া আক্তার (১৩) এবং ডা. শরিফুলের বন্ধু পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মো. ফারুক (৩৫) ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভার নাহিদ (২৬)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ডা.শরীফুল ইসলামের স্ত্রী রিমি আক্তার। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কানাইপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এস আই সাইফুর আহমেদ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক পলাতক রয়েছে।’
এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সোমবার বাদ মাগরিব জেলার বোয়ালমারী পৌরসদরের ছোলনা মাদরাসা মাঠে ডা. শরীফুল ইসলামসহ নিহতদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ছোলনা কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হবে।