প্রেমিকার তথ্যে সিএনজি চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সিএনজি চালক হত্যার আসামি মো. রানা

সিএনজি চালক হত্যার আসামি মো. রানা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেমিকার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সিএনজি অটোরিকশা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজের পর ২ জানুয়ারি সকালে উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি এলাকায় একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় নিহতের মা হনুফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার শীতলপাড়া থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িত একই উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি এলাকার দানু মিয়ার ছেলে মো. রানাকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, নিহত সাইদুর রহমান ও আটক মো. রানা প্রতিবেশী। সাইদুর তার সম্পর্কের ভাতিজা হয়। তারা একসাথেই চলাফেরা করত। দুইজনই জুয়া খেলতে বসলে সাইদুর খেলায় জিতে যেত। কিছুদিন আগে রানা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। গত ২৯ ডিসেম্বর কসবা সীমান্ত কমপ্লেক্সের সামনে সাইদুরের সাথে দেখা হয় রানার। এ সময় সাইদুরের মানিব্যাগে অনেক টাকা ও নতুন মোবাইল সেট দেখতে পায় সাইদুর। তার টাকা ও মোবাইলের প্রতি রানার লোভ হয়।

এ সময় রানা নানান ফন্দি করে সাইদুরকে প্রস্তাব দেয়, ‘রাতে এক লোক ইয়াবা নিয়ে আসবে, সেই ইয়াবা পৌঁছে দিলে চার হাজার টাকা দিবে। এতে সিএনজি ব্যবহার করা লাগব না, ড্রেজারের মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে গেলেই হবে’।

রানার দেয়া ফাঁদে লোভে পরে সাইদুল কথা অনুযায়ী রাত সাড়ে ৭টায় ড্রেজারের মাঠে হাজির হয়। সেখানে এসে সাইদুর তার প্রেমিকার সাথে মোবাইলে কথা বলতে থাকে। এ সময় রানা একটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে পেছন থেকে সাইদুরের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লূটিয়ে পড়ে সে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর সাইদুরকে ঝাপটে ধরে ও মাফলার দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরে। পরে সাইদুরকে গলায় ক্ষুর দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে রানা। হত্যার পর মানিব্যাগ মোবাইল রেখে মাঠের পাশে সাইদুরের মরদেহ একটি বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। তদন্ত শেষে গত ১২ জানুয়ারি কসবা থেকে রানাকে গ্রেফতার করে ডিবি ও পুলিশ।

এ সময় পুলিশ সুপার আরও জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই রানাকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় সাইদুর তার মোবাইল ফোনে প্রেমিকার সাথে কথা বলছিল। কল লিস্টের সূত্র ধরে আমরা সাইদুরের প্রেমিকার সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, হত্যার সময় মোবাইলটি চালু থাকায় শুনতে পেয়েছি সাইদুর বলছে, 'চাচা আমাকে মারিস না'। সেই সূত্রে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা তদন্ত করে রানাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;