আলু ক্ষেতে 'লেট ব্লাইট' রোগ, খোঁজ নেননি কৃষি কর্মকর্তারা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলু ক্ষেতে 'লেট ব্লাইট' (পচন রোগ) রোগ দেখা দিয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

আলু ক্ষেতে 'লেট ব্লাইট' (পচন রোগ) রোগ দেখা দিয়েছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আলু ক্ষেতে 'লেট ব্লাইট' (পচন রোগ) রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষকরা বাধ্য হয়েই তাদের ক্ষেতের রোগাক্রান্ত অপরিপক্ক আলু উঠিয়ে ফেলছেন।

এদিকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।

বিজ্ঞাপন

কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পানগাঁও, কীর্তনখলা, দুলাইন, মাছিয়ালী, রামচন্দ্রপুর ও হরিয়ামালাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে আলু ক্ষেতে 'লেট ব্লাইট' (পচন রোগ) রোগ দেখা দিয়েছে।

এ নিয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কথা হয় কীর্তনখলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রতন মিয়া, সামছু মিয়া, হারুন মিয়া, পানগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই, আবু তাহের, মাছিয়ালী গ্রামের কৃষ্ণ সরকার, হরিয়ামালা গ্রামের রফিকুল, আব্দুল কাদির, বাচ্চু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে।

 রোগাক্রান্ত অপরিপক্ক আলু উঠিয়ে ফেলছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

তারা জানান, যে সময় ক্ষেতের আলু বড় হতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই প্রচণ্ড শীত (শৈত্যপ্রবাহ) দেখা দেয়। এতে মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় সব আলু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে নেতিয়ে পড়ে। গাছগুলো কালো হয়ে মরে যেতে থাকে। যে ক্ষেতে ২০ মণ আলু হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন ২ থেকে ৩ মণ করে আলুও উঠাতে পারছেন না তারা।

বিজ্ঞাপন

তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের খোঁজ-খবর নেননি।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান জানান, 'লেট ব্লাইট' রোগের জন্য কৃষকদের ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ বছর ১৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। তবে 'লেট ব্লাইট' রোগে আক্রান্ত হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আলু উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।