'জনবল সংকটে বন্ধ হাঁস প্রজনন খামার'



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার, ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চালু হয়নি ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার। তাই অলস হয়ে পড়ে আছে নির্মাণ হওয়া অবকাঠামোসহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে হাঁসের ডিম ও হাঁসের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সরকারি উদ্দেশ্য।

খামারটি চালু করতে দরকার মাত্র ১৪ জন লোকের। এর মধ্যে দুটি পদ প্রথম শ্রেণির। বর্তমানে খামের একজন নৈশ প্রহরী ছাড়া বাকী সবগুলো পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে খামারের কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাসিরনগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কুন্ডা ইউনিয়নের তুল্লাপাড়া গ্রামের সরাইল-নাসিরনগর মহাসড়কের পাশে ৩ একর জমির উপর 'হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার' নামে এ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। অথচ খামারের উৎপাদন শুরু হয়নি এখনো। নির্মাণ করা স্থাপনাগুলোও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। খামারের ভিতর ময়লা আবর্জনা ও ঘাস জমে আছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুন। অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় চালু করতে পারছেনা খামারটি। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও খামারের কার্যক্রম চালু নেই। এতে বিপাকে পড়েছেন হাওরবেষ্টিত নাসিরনগর উপজেলার প্রায় দুইশত ছোট-বড় খামারের মালিক। প্রতি মাসে এই খামার থেকে প্রায় ৩০ হাজার হাঁসের বাচ্চা খামারিদের মাঝে সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে।

জন মানব শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে খামারটি

সরেজমিনে নাসিরনগরের হ্যাচারি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এ খামারে রয়েছে বাচ্চা পালনের জন্য আধুনিক মানসম্পন্ন ৬টি শেড। এছাড়াও চারতলা প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন সুবিধা, একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, জেনারেটর, খামারে বাচ্চা ফোটানোর দুটি অত্যাধুনিক ইনকিউবেটর (ডিমে তা দেওয়ার যন্ত্র), ৬টি লেয়ার শেড, ১টি ব্রডার শেড, ১টি গ্রোয়ার শেড, ১টি গ্যারেজ, ১টি পাম্প হাউজ, জেনারেটর রুম ও ১টি খাদ্য গুদাম। এছাড়াও খামারের বেশ কয়েকটি যানবাহন (মোটরসাইকেল, পিক-আপ ও ১টি জীপ) প্রয়োজন। অথচ তার কিছুই নেই এই খামারে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিরনগর উপজেলায় নির্মিত 'হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার' উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ১ বছর তিনমাস অতিবাহিত হলেও খামারটি এখনো চালু হয়নি। যদি খামারটির কার্যক্রম চালু থাকত তাহলে এলাকাবাসী যেমন আর্থিক ভাবে লাভবান হতো তেমনি উপজেলায় ক্ষুদ্র খামারিরা হাঁস পালনে উদ্বুদ্ধ হতো এবং আমিষের চাহিদাও পূরণ হতো। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় খামারের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ। আর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।

সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এভাবেই অব্যবহৃত হয়ে আছে স্থাপনাগুলো

কথা হয় হ্যাচারিটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রুবেল তালুকদারের সাথে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান প্রায় দুই বছর হল এই খামারে কাজ করছি কিন্তু বেতন পাচ্ছিনা। আমার সাথে যারা ছিল বেতন না পাওয়ায় তারা অন্যত্র চলে গেছে। বাংলাদেশে একসাথে ১৪টি 'হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার' ১০ বছরের প্রকল্প চালু হয়। বাকি ১৩টি চালু হলেও নাসিরনগরের খামারটি চালু হয়নি এখনো।

খামারটির অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুমন ভৌমিক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, খামারটি চালু করতে বরাদ্দ করা ১৪ জনবল প্রয়োজন। এর মধ্যে দুটি পদ প্রথম শ্রেণির। বর্তমানে খামের একজন নৈশ প্রহরী আছেন। বাকী সবগুলো পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে খামারের কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছেনা এবং বিরাজ করছে স্থবিরতা।

তিনি আরো বলেন, খামারের বেশ কয়েকটি যানবাহন (মোটরসাইকেল,পিক-আপ ও১টি জীপ) প্রয়োজন। অথচ কিছুই নেই এই খামারে। একজন ঝাড়–দার দিয়ে কিভাবে চালু হবে এই খামার? এমনই প্রশ্ন রাখেন এ কর্মকর্তা।

এবিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম সাইফুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, খামারটি চালু করতে প্রয়োজনীয় জনবল দরকার। কিন্তু আমরা সে জনবল পাচ্ছি না। ৫ জন অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে খামারটির দেখাশোনা করার জন্য। তবে খামারটি চালু না হওয়ায় তাদের মধ্যে তিনজন চলে গেছে অন্যত্র। মো. আলমগীর মিয়া প্রেষণে কাজ করছেন সোনাগাজি হাঁসের খামারে, ইসমাইল মিয়া কাজ করছেন ফরিদপুর ডেইরি খামারে, মর্জিনা আক্তার বরিশালের পোল্ট্রি খামারে। দুজনের মধ্যে মো. রুবেল তালুকদার ও কোহিরুন বেগম খামারটির দেখাশোনা করছেন। তারাও বেতন পাচ্ছে না।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;